দ্রুতই শুটিংয়ের দ্বন্দ্বের অবসান চান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

ফেডারেশন সভাপতি ও মহাসচিবের দ্বন্দ্বের জেরে শুটিংয়ে হারিয়ে যেতে বসেছে অতীত ঐতিহ্য। সেই গৃহবিবাদের বলি হয়েই শুটাররা এখন নিজেদের খেলা ভুলে দৌড়াচ্ছেন শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগে। এটা বিস্মিত করেছে খোদ ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে। জাহিদ আহসান রাসেল শাসিয়েছেন কর্মকর্তাদের, ‘শুটিংয়ে যে দ্বন্দ্ব চলছে তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।’
শুটিংয়ের চলমান সংকট নিয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন ‘শুটিং ফেডারেশনের কর্মকর্তারা কেন শুটারদের সামনে ঠেলে দিয়েছে, আমি জানি না। শুল্ক বিভাগের সঙ্গে ফেডারেশনের কর্মকর্তারা যোগাযোগ করেই এর সমাধান করতে পারতেন। কৃতী শুটারদের গিয়ে হাজিরা দিতে হয়েছে, এতে তারা বিব্রত হয়েছে। এ জন্য অবশ্যই ফেডারেশন কর্মকর্তারা দায়ী।’ শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ ১৪ জন শুটারের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ তুলে তাদের সশরীরে হাজির হয়ে জবাবদিহি করতে বলে।
অভিযোগ, তারা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে অস্ত্র এনেছেন। অভিযোগনামার চিঠি হাতে পেয়েই শুটাররা দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। কারণ এ রকম অবস্থায় তারা কখনো পড়েননি, তাই জিজ্ঞাসাবাদের ভয় কাজ করছিল তাদের মধ্যে। দুর্ভাগ্যজনক হলো, ৫ই জুলাই চার শুটার শুল্ক বিভাগের মুখোমুখি হলেও সঙ্গী হননি ফেডারেশনের কোনো কর্মকর্তা। অথচ ফেডারেশন সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী জানতেন শুটারদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারটা। কারণ শুটারদের কাছে পাঠানো শুল্ক বিভাগের চিঠির অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে ফেডারেশন সভাপতিকে। রাসেল বলেন, শুটিংয়ে যে দ্বন্দ্ব চলছে তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। শুটাররা কোনো আগ্নেয়াস্ত্র আনেননি। ‘শুল্ক ফাঁকি’ দিয়ে আনা এয়ারগান দিয়ে তারা গৌরব বয়ে এনেছেন দেশের জন্য। সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, ‘শুটিং আমাদের দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে অনেক সাফল্য উপহার দিয়েছে। শুটাররাই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের পতাকা উড়িয়েছে। তাদের নিয়ে যা হচ্ছে, এটা মোটেও কাম্য নয়।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *