দ্বিতীয় প্রান্তিকে রিয়েলমির দুই অংকের প্রবৃদ্ধি

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) একমাত্র স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে দুই অংকের প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে রিয়েলমি। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে টেক ট্রেন্ডসেটিং এ স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের প্রতিবেদন অনুযায়ী এর ফলে টানা চতুর্থ প্রান্তিকের মতো বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের তকমা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে রিয়েলমি।

কাউন্টারপয়েন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) যে দুটি ব্র্যান্ড ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তার মধ্যে রিয়েলমি একটি। এর বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১৫৭ শতাংশ ছাড়িয়েছে। বলা হচ্ছে, সর্বশেষ সংখ্যার ভিত্তিতে চলতি বছরের প্রথমার্ধে রিয়েলমি ডিভাইস ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে দেড় কোটি। রিয়েলমি এখন চার কোটি গ্রাহকের টেক ট্রেন্ডি পরিবার।

কাউন্টারপয়েন্ট ও আইডিসির রিসার্চ অনুযায়ী, স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি এখন থাইল্যান্ড, ভারত, কম্বোডিয়া ও মিসরে শীর্ষ চার এবং মিয়ানমার, ফিলিপাইন, ইউক্রেন, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামে শীর্ষ পাঁচে অবস্থান করছে।

রিয়েলমি বরাবরই ফাইভজি পণ্য প্রমোট করে আসছে এবং রিয়েলমি এক্স ফিফটি প্রো ফাইভজি ফোনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ফাইভজি দুনিয়ায় প্রবেশ করে। ভারত ও থাইল্যান্ডের বাজারে রিয়েলমি প্রথম ফাইভজি ফ্ল্যাগশিপ ফোন নিয়ে আসে। প্রতিষ্ঠানটির ১ হাজার ডলারেরও কম মূল্যে কম্বোডিয়ার প্রথম ফাইভজি ফোন উন্মোচন করেছে।

২০২০ সালে রিয়েলমি স্মার্টফোন এবং এআইওটি স্ট্র্যাটেজি হাতে নেয়। বর্তমানের চ্যালেঞ্জিং অর্থনৈতিক পরিবেশেও রিয়েলমির এ উদ্যোগ তাদের লক্ষ্যমাত্রা সফলভাবে পূরণ করেছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ রিয়েলমি ৫০টি এআইওটি পণ্য বাজারে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে, যে সংখ্যা তারা পরবর্তী বছরে একশতে উন্নীত করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।

রিয়েলমি তাদের এআইওটি স্ট্র্যাটেজিকে ‘১+৪+এন’ উদ্যোগ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে আসছে। যেখানে একটি মূল পণ্যের (স্মার্টফোন) সঙ্গে থাকবে চারটি প্রধান গ্রুপের (স্পিকার, ইয়ারফোন, টিভি ও ওয়াচ) লাইফস্টাইল ডিভাইস এবং পরিপূরক হিসেবে ‘এন’ সংখ্যক স্মার্ট অ্যাকসেসরিজ।

এ বিষয়ে রিয়েলমির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লি বিংজং বলেন, রিয়েলমির লক্ষ্য তিন বছরের ভেতর ১০ কোটি স্মার্টফোন বিক্রি করা এবং প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক বাজারে সমপ্রসারণ অব্যাহত রাখা। রিয়েলমি এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০টি দেশ এবং অঞ্চলে পৌঁছে গেছে। গ্রাহকপ্রিয়তা অর্জন করে চলেছে। বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে আমাদের মিশন ‘ডেয়ার টু লিপ’ স্পিরিটে তরুণদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখা।

বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে নান্দনিক নকশায় রিয়েলমির ডিভাইসগুলোর ডিজাইন ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। চলতি বছর রিয়েলমির ডিজাইন স্টুডিও তাদের নজরকাড়া ট্রেন্ডসেটিং সব ডিভাইসের নকশার জন্য বিশ্ববিখ্যাত ডিজাইনার নাওতো ফুকাসাওয়া এবং হার্মিসের হোসে লিভাইর সঙ্গে কাজ করেছে। রিয়েলমি এক্স টু প্রো জিতে নিয়েছে মর্যাদাপূর্ণ রেড ডট ডিজাইন পুরস্কার। রিয়েলমি নকশা ও প্রযুক্তি উভয় ক্ষেত্রেই অগ্রগামী উদ্ভাবন অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর।

২০১৮ সালের মে মাসে ই-কমার্সের বিস্তৃত প্রেক্ষাপটে দৃঢ় পারফরম্যান্স এবং ট্রেন্ডি ডিজাইন সরবরাহকারী ডিভাইস ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে রিয়েলমি। ব্র্যান্ডটির বিভিন্ন পণ্য প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাদের পাওয়ার এবং স্টাইলের জন্য ব্যাপক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। ভারতে রিয়েলমি দীপাবলির সময় তিনদিনে ১০ লাখ ফোন বিক্রির রেকর্ড গড়েছিল। রিয়েলমি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার লাজাদার বিক্রির রেকর্ডও ভেঙে মোবাইল ফোন বিভাগে শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হয়।

চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান ও মিসরের মতো ২০টিরও বেশি দেশের বাজারে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রিয়েলমি প্রবেশ করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করে রিয়েলমি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *