দেড় লাখ টন মেরিন ফুয়েল সরবরাহের কাজ পাচ্ছে সিঙ্গাপুরের কোম্পানি

প্রায় ৪৫০ কোটি টাকায় দেড় লাখ টন মেরিন ফুয়েল সরবরাহের কাজ পাচ্ছে সিঙ্গাপুরের দুটি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া ৯৮টি দেশীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১৩২ কোটি ৪১ লাখ ৫১ হাজার টাকা ব্যয়ে ৭ কোটি ২০ লাখ ৯ হাজার ৩৭৩টি বই ছাপানোর কাজের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গতকাল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৯তম সভায় এসব ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক বাজারে দাম কমার কারণে মেরিন ফুয়েল কম দামে পাব। তাছাড়া জিটুজি পদ্ধতিতে ক্রয়ের কারণে খরচ অনেক সাশ্রয় হবে।

দেশে জ্বালানি তেলের দাম কমানো উচিত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এজন্য একটি লাইন মন্ত্রণালয় আছে। তাদের প্রস্তাব এলে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থাগুলো কাজ করবে। সময়মতো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

জানা গেছে, ২২২ কোটি ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২০ সময়ে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় ৭৫ হাজার মেরিন ফুয়েল (দশমিক ৫ শতাংশ সালফার), আমদানির প্রিমিয়াম ও মূল্য (রেফারেন্স প্রাইস অনুযায়ী) অনুমোদন করা হয়েছে। এছাড়া ২১৬ কোটি ৭০ লাখ টাকায় জিটুজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোটেশনের মাধ্যমে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২০ সময়ে ৭৫ হাজার টন (+১০ শতাংশ) মেরিন ফুয়েল (দশমিক ৫ শতাংশ সালফার), আমদানির প্রিমিয়াম ও মূল্য (রেফারেন্স প্রাইস অনুযায়ী) অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক স্তরের (তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর) বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের ৯৮টি লটের বিনা মূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহ দরপ্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা চলতি বছরে বই উৎসব করতে ইচ্ছুক। শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের পাঠ্যপুস্তক যথাসময়ে বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য আজকে (গতকাল) গুরুত্বপূর্ণ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বইগুলো মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করলে ৯৮টি লটে ১ হাজার ২২টি দরপত্র জমা পড়ে। ১ হাজার ২০টি দরপত্র রেসপনসিভ হয়। এসব দরপত্রের মধ্য থেকে ৯৮টি লটের বিপরীতে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতারা কাজ পেয়েছেন। সরকারি অর্থায়নে বইগুলো মুদ্রণে খরচ হবে ১৩২ কোটি ৪১ লাখ ৫১ হাজার ৭৪৬ টাকা। তবে সিকিউরিটি বাবদ ১০ শতাংশই রাখা হচ্ছে। বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হলেও তা বৃদ্ধি করা হয়নি।

অন্যদিকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৩তম সভায় তিনটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ‘ভুলতা আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর সড়কে (জ-২০৩) মেঘনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘৩৫টি ড্রেজার ও সহায়ক জলযানসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ-০২ (লট-১ ও লট-২)-এর আওতায় ১৭টি টাগবোট সংগ্রহের লক্ষ্যে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে নীলফামারীর সাবেক জুট ট্রেডিং করপোরেশন (জেটিসি) বর্তমান বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের (বিজেসি) মেসার্স হূদকরণ নামীয় অঙ্গনের দশমিক শূন্য ৯ একর সম্পত্তি ক্রেতা বরাবর রেজিস্ট্রি দলিল প্রদানের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

ক্রয় কমিটির এক বৈঠকে ওয়াসার একটি প্রস্তাব স্থগিত করা হয়, যেটি গত মিটিংয়ে অনুমোদন দেয়া হয়েছে—এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি সেই মিটিংয়ে অনুপস্থিত থাকলেও আমার বিশ্বাস, নিয়ম মেনেই সেই ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *