দক্ষিণ কোরিয়ার বক্স অফিসে চাঙ্গা ভাব

দক্ষিণ কোরিয়ার বক্স অফিস ২০২১ সালে এখন পর্যন্ত সফলতম সপ্তাহটি পার করল। সৌল ও ডেমন স্লেয়ার দ্য মুভি: মুগেন ট্রেনের সাফল্যে বক্স অফিস সরগরম। একই সঙ্গে আরো দুটি নতুন ছবি তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে ঠাঁই পেয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার বক্স অফিসে এক নম্বর স্থানটি ধরে রেখেছে সৌল। মুক্তির চতুর্থ সপ্তাহে এসেও ছবিটির আয় বেড়েছে ৫ শতাংশ এবং আয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৮ লাখ মার্কিন ডলার। কোরিয়ান ফিল্ম কাউন্সিলের করবিস ট্র্যাকিং সার্ভিসের মতে, সৌল দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত আয় করেছে ১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার।

জাপানি হিট ছবি ডেমন স্লেয়ার অবস্থান করছে দ্বিতীয় স্থানে। তৃতীয় সপ্তাহে ছবিটি আয় করেছে প্রায় ৮ লাখ ডলার। আর গত ২৭ জানুয়ারি থেকে আয় করেছে ৫৩ লাখ ডলার।

নতুন মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে আছে কোরিয়ার রোমান্টিক কমেডি ‘নিউ ইয়ার ব্লুজ’। ছবিটি মোট আয় করেছে ১১ লাখ ডলার। একটি বিশেষ সপ্তাহে চার দম্পতির গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে এ সিনেমা। পরিচালনা করেছেন হং জি-ইয়ং এবং প্রযোজনা করেছে এসমেকার মুভিওয়ার্কস।

পল ডব্লিউএস অ্যান্ডারসনের মনস্টার হান্টার আছে চতুর্থ অবস্থানে। গত সপ্তাহে এটি আয় করেছে ৪ লাখ ৭৬ হাজার মার্কিন ডলার। সব মিলিয়ে কোরিয়ার নতুন চান্দ্র বছর ও ভ্যালেন্টাইন ডে মিলিয়ে গত সপ্তাহে দেশটির বক্স অফিসে আয়ের অংকটি ছিল ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার। এ বছর সবচেয়ে সফল সপ্তাহ হলেও গত বছরের এ উৎসবের সপ্তাহে আয় হয়েছিল এর সাত গুণ। এ বছরের জানুয়ারির চেয়ে ফেব্রুয়ারিতে এসে দক্ষিণ কোরিয়ার বক্স অফিসে আয় বাড়ছে। তবে পরিস্থিতি করোনা মহামারীর আগের দিনগুলোর মতো হতে যে এখনো অনেক পথ বাকি সেটাও বোঝা যাচ্ছে। গত পরশু থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় মহামারী-সংক্রান্ত আরো কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। রাত ৯টা থেকে কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। তাই রাতের শোতে সিনেমা হলে দর্শকদের ভিড় বাড়বে। অন্যদিকে হলগুলোর আসন পূর্ণ করার ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের নিয়ম শিথিল করে ৭০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। অর্থাৎ এতদিন হলের অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখতে হলেও এখন কেবল ৩০ শতাংশ আসন ফাঁকা রাখলেই চলবে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *