তিন মাসে মেক্সিকোয় প্রাতিষ্ঠানিক চাকরি হারিয়েছে ১০ লাখ মানুষ

মেক্সিকোয় মার্চ থেকে তিন মাসে প্রাতিষ্ঠানিক চাকরি হারিয়েছে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে মে মাসে লকডাউনের কারণে প্রাতিষ্ঠানিক চাকরি চলে গেছে প্রায় সাড়ে তিন লাখের। বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে লাতিন আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে মার্চের শেষের দিকে বহুবিস্তৃত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এর পরই বাড়তে থাকে অর্থনৈতিক সংকট, যা মেক্সিকোকে গত কয়েক দশকরে মধ্যে সবচেয়ে গভীর মন্দার মুখে ফেলেছে। খবর রয়টার্স।

মে মাসে মেক্সিকোয় প্রাতিষ্ঠানিক চাকরি হারিয়েছে ঠিক ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫২৬ জন। এপ্রিলে বিভিন্ন কোম্পানি প্রাতিষ্ঠানিক চাকরি থেকে ছাঁটাই করেছে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ২৪৭ কর্মীকে। একইভাবে মার্চে চাকরি হারিয়েছে আরো ১ লাখ ৩০ হাজার ৫৯৩ মানুষ। এর আগে প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ জানিয়েছিলেন, দেশটির অর্থনীতিতে বৈশ্বিক মহামারী খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারবে না। একই সঙ্গে তিনি পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে প্রাতিষ্ঠানিক চাকরি হারানোর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়াবে না।

এদিকে ১ জুন থেকে ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালুর ঘোষণা দিয়েছিল মেক্সিকো সরকার। এর মধ্যে প্রথমেই গাড়ি নির্মাণ ও খনির মতো ‘জরুরি’ শিল্প খাতের কার্যক্রম পুনরায় শুরুর বিষয়ে ভাবা হয়। কিন্তু দেশটিতে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ বৃদ্ধিতে এ পরিকল্পনা সফলতার মুখ দেখছে না। খুব শিগগিরই এ অবস্থার পরিবর্তন হবে বলেও মনে হচ্ছে না। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি মেক্সিকোর অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত ৩ কোটি ১০ লাখ কর্মীর জন্যও বড় দুঃসংবাদ।

অর্থনীতিবিদ হোসে লুই দে লা ক্রুজ বলেন, এ সংকট আগে থেকেই অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে আরো বৈষম্য ও বেকারত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা আইএনইজিই জানিয়েছে, শুধু এপ্রিলেই প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক মিলে মেক্সিকোয় চাকরি হারিয়েছেন ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষ।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *