লীগ বন্ধ হয়ে আছে তিন মাস। নেই কোনো জাতীয় বয়সভিত্তিক দলের কার্যক্রমও। মেয়েরা এখন যে যার বাড়িতে আছেন, আর নিজেদের মতো ফিটনেস ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ গোলাম রব্বানী অবশ্য তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন। রব্বানীর আশা শিগগিরই করোনার এই দুর্যোগ কেটে যাবে। আবারো ফুটবল মাঠে ফিরবে। সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে মেয়েরা।
আগামী সেপ্টেম্বরে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা। প্রতিযোগিতা দুটি টার্গেট করে মেয়েদের তৈরি থাকার তাগিদ দিয়েছেন কোচ।
গতকাল মুঠোফোনে এই দুই টুর্নামেন্ট নিয়ে গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে সাফের দুটি বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতা আছে। আমরা আশা করছি এরই মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। এই মহামারি থেকে রক্ষা পাবো। সব ধরনের খেলা মাঠে শুরু হবে। মেয়েরা আগে যেমন পারফরম্যান্স করেছে, সাফল্য পেয়েছে, ভবিষ্যতেও তা ধরে রাখতে পারবে।’ করোনার কারণে মেয়েদের অনুশীলন বন্ধ থাকলেও কোচ ও তার সহকারীরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। রব্বানী বলেন, ‘গত ক’বছর মেয়েদের ফুটবলে ব্যস্ত সময় গেছে। আগে আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি মেয়েদের ফিটনেস লেভেল সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখার জন্য। এখন করোনার কারণে সবকিছু থমকে গেছে। ফিটনেস লেভেলও কমে যাওয়ার কথা। তবে আমরা মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। বাড়ির উঠানে তারা যেন কিছু অনুশীলন করতে পারে, সেটাই বলা হয়েছে। যেন ফিটনেস লেভেল কাছাকাছি পর্যায়ে থাকে।’ মেয়েদের মানসিকভাবেও তাদের উজ্জীবিত করছেন কোচ, ‘সবসময় তাদের সঙ্গে ফোনে কিংবা ভার্চুয়ালি যোগাযোগ করে তেমনই ভরসা দিয়ে যাচ্ছি।’