ট্রাম্প জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন: সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বের কঠোর সমালোচনা করেছেন তারই সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস। তার অভিযোগ, ‘ট্রাম্প জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন।’ 

ট্রাম্প ২০১৮ সালে সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলে পদত্যাগ করেন ম্যাটিস। সেই থেকে তিনি নীরবই ছিলেন। দেশে চলমান বিক্ষোভ ও অস্থিরতা নিয়ে তিনি অবশেষে মুখ খুললেন। দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিনকে দেয়া সাক্ষাতকারে সাবেক এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী ট্রাম্প প্রশাসনকে একহাত নেন।

তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, চলমান অস্থিরতা ট্রাম্প সামাল দিতে না পারায় তিনি ‘ক্ষুব্ধ’।

অবশ্য ট্রাম্পও বসে নেই। একাধিক টুইটে তিনি ম্যাটিসকে ‘বিশ্বেরর সবচেয়ে নিম্নমানের জেনারেল’ বলে অভিহিত করেন। তাকে নিয়ে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি তার নেতৃত্বকে পছন্দ করিনি কিংবা তাকেও, এ কথার সঙ্গে অনেকেই একমত হবেন। সে যে বিদায় নিয়েছে এটাই আনন্দের।’

দ্য আটলান্টিক-এ ম্যাটিস বলেন, ‘আমার জীবদ্দশায় ডোনাল্ড ট্রাম্প এমনই এক প্রেসিডেন্ট যে কিনা আমেরিকান মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেননি, এমনকি এ নিয়ে কোনো ভানও করেননি। তার পরিবর্তে তিনি বরং আমাদের বিভক্ত করার চেষ্টায় রয়েছেন।’

ট্রাম্পের তিন বছরের অধ্যায়ের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘তিনটি বছর পরিপক্ক নেতৃত্বের কুফল ভোগ করছি আমরা।’ 

আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ নিয়ে ম্যাটিস বলেন, ‘এই প্রতিবাদ তো লাখো মানুষের সেই উপলব্ধির কথাই বলছে, যারা নিজেদের মূল্যবোধ নিয়ে ও একটি জাতি হিসেবে বাঁচতে চায়। অল্প কিছুসংখ্যক আইনপ্রণেতার দ্বারা আমরা লক্ষ্য থেকে দূরে সরে যেতে পারি না।’

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জমা দেয়া পদত্যাগপত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপক সমালোচনা করেন ম্যাটিস। চলমান বিক্ষোভ দমনে ট্রাম্পের সেনাবাহিনী ব্যবহারের হুমকিরও সমালোচনা করেন তিনি। এ নিয়ে তার কথা, ‘আমি কখনই এটা স্বপ্নেও ভাবি না, যেকোনো পরিস্থিতিতেই নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানো। তারা তো সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের দাবিতে আন্দোলন করছে। আমরা দেখছি, সেনাবাহিনী ও নাগরিক সমাজের মধ্যে একটি দ্বন্দ্ব তৈরি করছে ওয়াশিংটন ডিসি।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *