গত মৌসুমে এএফসি কাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ইতিহাস গড়ে আবাহনী। প্রথম বাংলাদেশি ক্লাব হিসেবে পৌঁছে যায় এএফসি কাপের আঞ্চলিক পর্বের সেমিফাইনালে। আর আবাহনীকে সেমিফাইনালে তোলার অন্যতম কারিগর ছিলেন স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ জীবন। গত বছর ১৭ই এপ্রিল আবাহনীর এই স্ট্রাইকার মিনার্ভা পাঞ্জাবের বিপক্ষে করেছিলেন অসাধারণ এক গোল। এই গোলটিই এখন এশিয়ার সেরা পাঁচ গোলের তালিকায়।
এএফসি’র ওয়েবসাইটে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন তাদের ফ্লিক, ট্রিক ও ব্যাকহিল ক্যাটাগরির সেরা পাঁচটি গোলের তালিকা প্রকাশ করেছে। ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে হওয়া এএফসি কাপের ম্যাচগুলো থেকেই এই ক্যাটাগরির সেরা পাঁচটি গোল বেছে নিয়েছে এএফসি। এই ক্যাটাগরির সেরাদের তালিকায় আছে বাংলাদেশের নাবিবের ফ্লিকে করা ওই গোল।
এএফসি’র সেরার তালিকায় নাম- এমন খুশির সংবাদ শুনে বেশ অবাকই হয়েছেন জীবন, ‘তাই নাকি! আমি তো কিছুই জানি না।’ এরপর উচ্ছ্বসিত এই ফরোয়ার্ড বলেন, ‘আমার খুবই ভালো লাগছে খবরটা শুনে। মাঝে মধ্যেই নিজের সেরা কিছু গোলের রেকর্ড করা ভিডিও দেখি। এটা দেখে আমার খুব ভালো লাগে।’ ক্লাবে যতটা উজ্জ্বল, জাতীয় দলের জার্সিতে ততটাই মলিন জীবন। কিন্তু এই গোল থেকেই এবার অনুপ্রেরণা খুঁজছেন আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের জন্য, ‘এই গোলগুলো দেখলে মনে হয় এটা তো আমিই করেছি ক্লাবের হয়ে। তাহলে জাতীয় দলে কেন পারব না? এসব গোল দেখলে আমার নিজের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। এবার চেষ্টা করব দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এমন গোল উপহার দিতে।’
জীবনের সামনে ভারতীয় ক্লাবের গোলরক্ষক ও একজন ডিফেন্ডার থাকলেও তাদের বোকা বানিয়ে বল ঠেলে দিয়েছিলেন জালে। ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছিল। আবাহনী দুইবার পিছিয়ে পড়ে ঘরের মাঠে ১ পয়েন্ট পেয়েছিল। অন্য গোলটি করেছিলেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে। জীবনের নামে গোলটি হলেও সুযোগটি তৈরি করে দিতে দারুণ ভূমিকা রেখেছিলেন বেলফোর্ট। ওয়ালি ফয়সালের পাস ধরে ঝড়ের গতিতে প্রতিপক্ষের একজনকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে জীবনকে দিয়েছিলেন বেলফোর্ট। মুহূর্তেই জীবন বল পাঠিয়ে দেন জালে। সেরা পাঁচে মনোনীত অন্য চার ফুটবলার হলেন- উজবেক ক্লাব এএফসি নাসাফের লাটভিয়ান মিডফিল্ডার পেরেপ্লোটকিনস, ইরাকের এরবিল ক্লাবের আমজাদ রাধি, জর্ডানের আল-ওয়েহদাত ক্লাবের বাহা ফয়সাল ও সিঙ্গাপুরের হোম ইউনাইটেডের হাফিজ নূর। দর্শকরা ২৩শে জুলাই পর্যন্ত ভোট প্রদান করে ৫ জনের মধ্য থেকে বিজয়ী নির্বাচন করবেন।