চীনের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গুপ্তচরবৃত্তির কথা স্বীকার করেছেন সিঙ্গাপুরের এক নাগরিক। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, জুন ওয়েই নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে নিজের রাজনৈতিক পরামর্শ কেন্দ্রের মাধ্যমে চীনা গোয়েন্দাদের জন্য তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ আনা হয়েছিল। ওই ব্যক্তি শুক্রবার আদালতে এসব কথা স্বীকার করেন। খবর বিবিসি।
পৃথক এক বিবৃতিতে মার্কিন কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, একই দিনে চীনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক গোপন করার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত এক গবেষককে আটক করা হয়েছে। বিশ্বের দুই পরাশক্তির ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার সবশেষ নজির শুক্রবারের এসব ঘটনা।
মার্কিন বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জুন ওয়েই চীনের চর হয়ে কাজ করার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। ডিকসন ইয়েও নামে পরিচিত জুন ওয়েই ফেডারেল আদালতে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে চীনের গোয়েন্দা বিভাগের হয়ে কাজ করার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন শুক্রবার।
তিনি আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে আরো বলেছেন, মার্কিন সেনাবাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা, উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তার তথ্যসহ বিভিন্ন মূল্যবান তথ্য তিনি চীনের গোয়েন্দাদের কাছে সরবরাহ করতেন। ইয়েও এ রকম প্রতিবেদন লেখার জন্য বেশ কয়েকজনকে অর্থ প্রদান করেছেন।
২০১৯ সালে গ্রেফতারের পর ইয়েওর বিরুদ্ধে পরামর্শক পরিচয় ব্যবহার করে চীনা গোয়েন্দা সংস্থার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবান ও গোপনীয় তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ আনা হয়েছিল। চীনের গোয়েন্দাদের হয়ে কাজ করা, গোয়েন্দাদের সঙ্গে বহুবার দেখা করা ও চীন ভ্রমণের সময় বিশেষ সুবিধা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
এদিকে শুক্রবার চীনের যে গবেষককে আটকের কথা জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা, তার নাম জুয়ান তাং বলে জানিয়েছে বিবিসি। চলতি সপ্তাহে চার চীনা নাগরিকের বিরুদ্ধে চীনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় জুয়ান তার অন্যতম। বাকি তিনজনকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়।