শুধু অনলাইন মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক বিদেশী ছাত্রদের গ্রহণে বিরত থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে যেসব বিদেশী ছাত্র অবস্থান করছে, তাদের বিতাড়িত করে দেয়ার ঘোষণার মাধ্যমে পরবর্তী পরিকল্পনা পেশ করেছে মার্কিন প্রশাসন। খবর এএফপি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট এক বিবৃতিতে এ নীতিগত পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়।
শুরু থেকেই অভিবাসনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান গ্রহণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে আরো কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি এবং বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আগত বিদেশীদের ভিসা প্রদান বন্ধ ঘোষণা করেছেন।
আগামী শরতে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস অনলাইন মাধ্যমে পরিচালিত হবে, সেগুলোর বিদেশী ছাত্রদের ভিসা প্রত্যাহার করা হবে। আদালতের রায়ে হার্ভার্ড ও এমআইটিসহ অন্তত ১৮টি অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের কার্যক্রম অনলাইনে পরিচালনা করবে। কিন্তু ১৮ জুলাই মার্কিন প্রশাসন সিদ্ধান্তে সুর পাল্টায় ও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে।
বৈশ্বিক মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাদের ওপর চাপ সৃষ্টিতে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন ট্রাম্প।
আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু এবং ছাত্রদের ক্লাসে ফেরানোর ব্যাপারে জোরারোপ করছেন ট্রাম্প। নির্বাচনের আগে সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় দেখানো তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
কিছু অঙ্গরাজ্যে কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া সত্ত্বেও খুলে দেয়ার ব্যাপারে চাপ দিচ্ছে হোয়াইট হাউজ। যুক্তরাষ্ট্রে এ মহামারীতে মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ৪৪ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।
২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ লাখেরও বেশি আন্তর্জাতিক ছাত্র ভর্তি হয়েছে বলে জানায় ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন। বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই ওই বিদেশী ছাত্রদের টিউশনের ওপর বড় আকারে নির্ভরশীল।