চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে কাবুল ছেড়েছেন সেই ১৬০ আফগান শিক্ষার্থী

করোনা পরিস্থিতির কারণে নিজ দেশ আফগানিস্তানে গিয়ে আটকে পড়া চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ১৬০ আফগান শিক্ষার্থীর ক্যাম্পাস ফেরার অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। দুইদিন কাবুল বিমানবন্দরের পাশে আটকা থাকার পর তারা বিশেষ বিমানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে পৌঁছেছেন। সেখান থেকে যেকোনো সময় তারা বিমানে বাংলাদেশে আসবেন। চট্টগ্রাম নগরের এম এম আলী আহমেদ রোডে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি কামাল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আফগানিস্তানে আটকে থাকা আমাদের বর্তমান শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থীরা যারা এখানে আসতে চাচ্ছেন তারা এখন কাবুল বিমানবন্দর থেকে কাতারে পৌঁছেছেন। সেখান থেকে যেকোনো একটি ফ্লাইটে তারা বাংলাদেশে আসবেন। তিনি বলেন, আমাদের ছাত্রীদের ভয়াবহ বিপদ থেকে রক্ষা করতে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ থাকবো। বিশেষ করে আফগান শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি শেফরা আজমি ও ৬ জন শিক্ষার্থী সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে।

তাদের প্রতিও আমাদের কৃতজ্ঞতা থাকবে। জানা যায়, করোনার কারণে গত বছর নিজ দেশ আফগানিস্তানে ফিরে গিয়েছিলেন ১৬০ আফগান ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় খুললে তারা স্বাভাবিক নিয়মে আবার চট্টগ্রামের এই ক্যাম্পাসে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু চলতি মাসে কট্টরপন্থি তালেবানরা দেশটির ক্ষমতা দখল করলে এইসব শিক্ষার্থীর আর ক্যাম্পাসে আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। যে কারণে তড়িঘড়ি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘের একটি সংস্থার সহযোগিতায় একটি বিশেষ বিমানে কাবুল ছাড়ার ব্যবস্থা করে দেয়। তবে এতগুলো মেয়ে শিক্ষার্থী দেশ ছাড়লে নিজেদের সুনাম ক্ষুণ্ন হবে, এই আশঙ্কায় তাদেরকে বিমানবন্দরে ঢোকার অনুমতি দেয় নি তালেবানরা। যে কারণে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা তারা বিমানবন্দরের পাশের একটি জায়গায় আটকে থাকে। শেষ পর্যন্ত তাজিকিস্তানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুরোধে তাদের ছাড়পত্র দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়। এশিয়ার নারীদের বিশ্বমানের উচ্চ শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৮ সালে ১২৯ জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে ২ শতাধিক শিক্ষার্থী বাংলাদেশি। বাংলাদেশের পরেই আছে আফগান শিক্ষার্থীদের অবস্থান।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *