ম্যাচের ‘লাইনআপ’ দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায় দুদলের সামর্থ্যরে পার্থক্য। একদিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে তারার হাট, অন্যদিকে নিউক্যাসল ইউনাইটেডে নেই খ্যাতনামা কোনো ফুটবলার। তবে ঘরের মাঠে দাপট দেখায় নিউক্যাসল। শুরুর দশ মিনিটেই রেড ডেভিলদের পেছনে ফেলে দলটি। হারের শঙ্কায় থাকা দলকে বাঁচান এডিনসন কাভানি। সোমবার রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে ম্যানইউ-নিউক্যাসল ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে।
বল দখলে আধিপত্য দেখাতে না পারলেও আক্রমণে ম্যানইউর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিউক্যাসল। গোটা ম্যাচের ৩১ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ১৩টি শট নেয় স্বাগতিকরা। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৮টি।
৬৯ শতাংশ বল দখলে রাখা ম্যানইউও ১৩টি শট নেয়, তবে লক্ষ্যে ছিল মাত্র ৪টি।
সেইন্ট জেমস পার্কে ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই এগিয়ে যায় নিউক্যাসল। শন লংস্টাফের পাস ধরে গোল করেন নিউক্যাসলের ফরাসি ফরোয়ার্ড অ্যালন সেইন্ট মেক্সিমিন।
২৪তম মিনিটে নিউক্যাসলকে ব্যবধান বাড়াতে দেয়নি ম্যানইউ গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া। ২৫ গজ দূর থেকে জনজো শেভলির শট ফিরিয়ে দেন তিনি। ৩৮তম মিনিটে ক্যালাম উইলসন বল জালে পাঠালেও অফসাইডের খড়গে গোল পায়নি স্বাগতিক দল। সেইন্ট মেক্সিমিনের ডিফেন্স চেরা পাস পাওয়ার আগে এই স্ট্রাইকার অফসাইডে ছিলেন।
প্রথমার্ধে গোলের স্পষ্ট সুযোগ তৈরি করতে না পারা ম্যানইউ ম্যাচে ফেরে ৭১তম মিনিটে। এডিনসন কাভানির শট একজন ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে আবার তারই কাছে ফেরত আসে। ততক্ষণে বলের জন্য ঝাঁপ দেয়া নিউক্যাসল গোলরক্ষক ছিলেন মাটিতে। ফাঁকা জালে বল পাঠান কাভানি। বদলি হিসেবে নেমে ম্যানচেস্টারের হয়ে ১৭ ম্যাচে ষষ্ঠ গোলের দেখা পান উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার।
আর এই গোলটি নিউক্যাসলের বিপক্ষে ম্যানইউর ১১৩তম গোল। যা প্রিমিয়ার লীগে কোনো প্রতিপক্ষের জালে সর্বাধিক গোল দেয়ার রেকর্ড। এক পঞ্জিকাবর্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (৮০) গোল হজমের লজ্জার রেকর্ডটি গড়েছে নিউক্যাসল। ১৯৮৫ সালে এক বছরে ৮৭ গোল খেয়েছিল ওয়েস্ট ব্রম।
রাংনিক রালফের অধীনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড টানা চার ম্যাচ অপরাজিত রইলো। ১৭ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে রয়েছে ম্যানইউ। ১৯ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে নিউক্যাসল।
শীর্ষস্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৪৭। লিভারপুল তিনে, ৪১ পয়েন্ট নিয়ে।