কাজ করছে ফেসবুকের ১০ হাজার কর্মী

ফেসবুকের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) ও অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) ল্যাবে কর্মরত আছেন কোম্পানিটির অন্তত ১০ হাজার কর্মী, যা সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্টটির মোট কর্মীর এক-পঞ্চমাংশ। খবর দি ইকোনমিকস টাইমস।

সূত্র জানায়, অ্যাপল ও গুগলের ওপর থেকে নির্ভরতা কমাতে নিজস্ব যন্ত্রাংশ তৈরির পরিকল্পনা করছে ফেসবুক। ২০১৭ সালে ফেসবুকের অকুলাস ভিআর বিভাগ তাদের প্রায় এক হাজার কর্মীর কথা জানান দেয়। এ সময় ফেসবুকের মোট কর্মীর সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ৭৭০ জন।

গত ডিসেম্বরের হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ফেসবুকের মোট কর্মীর সংখ্যা ৫৮ হাজার ৬০৪ জন। প্রতি বছরই তা ৩০ শতাংশ হারে বেড়ে চলছে।

গত বছর এক্সটেনডেড রিয়েলিটি (এক্সআর) হেডসেটের প্রায় ৫৩ শতাংশ ফেসবুকের মালিকানাধীন অকুলাস ভিআর হেডসেটগুলোই দখল করে নিয়েছে।

গ্লোবাল এক্সআর মডেল ট্রেকারের তথ্য মতে, অকুলাস কোয়েস্ট ২ মডেলের ভালো পারফরম্যান্সের কারণে মডেলটির চাহিদা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মূলত মেমোরি বৃদ্ধি, দীর্ঘমেয়াদি ব্যাটারি লাইফ, উচ্চ রেজল্যুশন ও রিফ্রেশ রেট কারণে এ মডেলটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। পাশাপাশি স্বল্পমূল্যে প্রাপ্তিও অকুলাসের উন্নতির পথে আরেকটি কারণ বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

বর্তমানে তালিকার সেরা পাঁচে থাকা এক্সআর ডিভাইসগুলোর মধ্যে অকুলাস অন্যতম। সেরা পাঁচ হেডসেটের তিনটিই অকুলাসের।

গত সপ্তাহের শুরুতে ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ জানান, ভিআর হেডসেট ব্যবহারকারীদের জন্য আরো রিয়েলিস্টিক ডিজিটাল অ্যাভাটার নিয়ে আসতে যাচ্ছে ফেসবুক। চোখ ও মুখের শনাক্তকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করে এসব অ্যাভাটার তৈরি করা হবে। ফলে ব্যবহারকারীরা আরো ভালো সামাজিক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে পারবেন এসব ডিভাইসের মাধ্যমে।

জাকারবার্গ আরো বলেন, ভবিষ্যতে অকুলাস ভিআর হেডসেটগুলো ব্যবহারকারীদের আরো বেশি রিয়েল লাইফ অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম হবে। জাকারবার্গের মতে, আই ও ফেস ট্রেকিং প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার ফলে ব্যবহারকারীরা আরো রিয়াল লাইফ অভিজ্ঞতা পাবেন।

এক্ষেত্রে হার্ডওয়্যারে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা অন্তত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ফেসবুকের এ শীর্ষ নির্বাহী।

সেজন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধির পথে এগোচ্ছে ফেসবুক। দি ইনফরমেশনে দেয়া সাক্ষাত্কারে জাকারবার্গ আরো বলেন, এখন ফেসবুক যেটা করে তা হলো অন্যের প্লাটফর্মের ওপর ভিত্তি করে এগোয়। পরবর্তী কম্পিউটিং প্লাটফর্ম হিসেবে এআর ও ভিআর প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করি।

এআর ও ভিআর প্রযুক্তিতে মানুষের কাছাকাছি থাকার অভিজ্ঞতা নতুন রূপ পাবে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *