করোনা সংকটে ভারতকে ১৩৫ কোটি রুপি অনুদান গুগলের

করোনা সংকটে অক্সিজেন ও পরীক্ষার সরঞ্জামসহ জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের জন্য ভারতকে ১৩৫ কোটি রুপি দিচ্ছে গুগল। ভারতে নিযুক্ত গুগলের প্রতিনিধি সঞ্জয় গুপ্তা জানিয়েছেন, করোনায় যেসব পরিবার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তাদের প্রতিদিনের খরচ চালানোর জন্য যাতে নগদ অর্থ দেয়া যায়, সেজন্য ভারতকে এক দফায় সাহায্য করা হবে। দ্বিতীয় দফায় সাহায্যের অর্থ যাবে ইউনিসেফের কাছে। সে টাকা জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন এবং করোনা পরীক্ষার সামগ্রীসহ চিকিৎসার অন্য সামগ্রী কেনার জন্য ব্যবহার করা হবে। খবর ইন্ডিয়া টুডে।

ভারতের যেখানে এর প্রয়োজন বেশি, সেখানে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। শুধু কোম্পানিই নয় গুগলে কর্মরত অনেকে এ তহবিলে সহায়তা করেছে। গুগলার হিসাবে পরিচিত কোম্পানিটির প্রায় ৯০০ কর্মচারী ৩ কোটি ৭০ লাখ রুপি দান করেছে।

এদিকে ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গুগল ও অ্যালফ্যাবেটের সিইও সুন্দর পিচাই। টুইট বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, ভারতে ক্রমাগত বেড়ে চলা কভিড সংকট দেখে বিধ্বস্ত বোধ করছি। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সংক্রমিত জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে সব রকম চিকিৎসা সহায়তার জন্য ভারতকে ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার দিচ্ছে গুগল। এ কাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনিসেফ।

মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা টুইট করে বলেন, ভারতের কভিড পরিস্থিতি হূদয় বিদারক। বিপর্যস্ত ভারতের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ধন্যবাদ। এ বিপর্যয়ে সব রকমের চিকিৎসাসংক্রান্ত ত্রাণ পৌঁছে দিতে যত রকমের সহযোগিতা প্রয়োজন সবটাই করবে মাইক্রোসফট। একই সঙ্গে ভারতের জন্য অক্সিজেন কনসেনট্রেশন যন্ত্র কেনায় সহযোগিতা করবে মাইক্রোসফট।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২২ লাখ ৪৯ হাজার। আক্রান্ত হয়ে এ সময়ের মধ্যে দেশটিতে মারা গেছে ১৬ হাজার ২৫৭ জন। এর আগে এ রেকর্ডটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। গত জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ লাখ ৯০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। এছাড়া করোনায় দৈনিক সংক্রমণ ও ?মৃত্যুতেও বর্তমানে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫৩১ জন। আর এ সময়ের মধ্যে দেশটিতে মারা গেছে ২ হাজার ৮০৭ জন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *