লালমনিরহাট, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও বরিশালে করোনা উপসর্গ নিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ও মঙ্গলবার রাতে তারা মারা যান। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—
লালমনিরহাট: জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়। গতকাল সকালে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভাণ্ডার ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘনেশ্যাম এলাকার ফালু খানের ছেলে গার্মেন্টসের নিরাপত্তাকর্মী নজরুল ইসলাম গফুর (৫৪) ও গত মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলীর স্ত্রী আলেয়া বেগম (৫৬) করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাজিদ হোসেন খান বলেন, সিভিল সার্জনের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে দ্রুত মৃত নজরুল ইসলাম গফুরের বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন নমুনা রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানোর কাজ চলছে।
লালমনিরহাট সদর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ দোলন বলেন, ১৫ জুন পৌর শহরের খোচাবাড়ী এলাকার ব্যবসায়ী সেকেন্দার আলী করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার পর ১৬ জুন তার স্ত্রী আলেয়া বেগম, তিন ছেলে, ছেলের স্ত্রী ও গৃহপরিচারিকাসহ ছয়জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু নমুনা সংগ্রহের পর অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় রংপুরে নিয়ে গেলে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
চুয়াডাঙ্গা: জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা বাসস্ট্যান্ডপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সোলায়মান (৫০) করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা এএসএম মারুফ হাসান জানান, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভুগছিলেন সোলায়মান। এ কারণে গত সোমবার দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠায়। ফলাফল আসার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়লে গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মেহেরপুর: মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে ফাতেমা খাতুন (৩০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে তার মৃত্যুর পর নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষায় পাঠিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার বাড়ি সদর উপজেলার ময়ামারী গ্রামে।
করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোখলেছুর রহমান।
তিনি বলেন, ওই নারী সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আজ সকালে হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে সন্দেহে তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। তার কোনো ভ্রমণ বিষয়ক তথ্য কিংবা আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিলেন কিনা তা তথ্যানুসন্ধান করা হচ্ছে।
বরিশাল: করোনার উপসর্গ নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে গত মঙ্গলবার রাতে মফিজুর রহমান (৭০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তিনি (মফিজুর) কাউনিয়া থানার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের তালতলী এলাকার বাসিন্দা। মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন।