করোনার প্রভাবে ক্ষতি সাড়ে ৫ হাজার কোটি ডলার

নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে বিশ্বজুড়ে সীমান্ত বন্ধের পাশাপাশি গৃহীত বিধিনিষেধের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে আফ্রিকার ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্পে। আফ্রিকান ইউনিয়নের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনার প্রভাবে এ শিল্প খাতে অঞ্চলটির ক্ষতি হয়েছে ৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। খবর এএফপি।

আফ্রিকার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে পর্যটন। বিশেষ করে এ অঞ্চলের সাফারি পার্কগুলো সারা বিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণ করে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের সব ধরনের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়, যা আফ্রিকার পর্যটন ও ভ্রমণ শিল্পকে অভাবনীয় ক্ষতির মুখে ফেলে দেয়। আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনার আমানি আবৌ-জেইদ বলেন, সত্যিকার অর্থেই এ প্রভাব খুবই মারাত্মক। মাত্র তিন মাসেই এ খাতে সাড়ে ৫ হাজার কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে। অথচ মনে করা হয়েছিল যে এ সময়ে আফ্রিকার পর্যটন খাতে প্রবৃদ্ধি ঘটবে। বিশেষ করে ভ্রমণ ও বিমান পরিবহন নিয়ে সংশ্লিষ্টরা বেশ আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এমন কিছু বিমান পরবিহন সংস্থা রয়েছে, যেগুলো হয়তো কভিড-১৯-এর ধাক্কা সামলে উঠতে পারবে না। তিনি বলেন, আফ্রিকায় পর্যটন কোনো বিলাসিতা নয়, এটি আমাদের জীবিকার উৎস। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান আমানি আবৌ জেইদ।

এদিকে কভিড-১৯-এর সংক্রমণ বৃদ্ধির দিকে থাকলেও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ ফের বিমান পরিবহন চালুর পরিকল্পনা করছে। এরই মধ্যে কয়েকটি দেশ তাদের সীমান্ত খুলে দিয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো জাম্বিয়া ও সিয়েরা লিয়ন। ১৫ জুলাই থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন চালুর ঘোষণা দিয়েছে সেনেগাল।

সংকট মোকাবেলায় জেইদ আন্তঃআফ্রিকান দেশগুলোর মধ্যে ভ্রমণ ও পর্যটন বৃদ্ধি বিষয়ে জোর দিচ্ছেন। তিনি বলেন, আফ্রিকানদের আফ্রিকা ভ্রমণে উৎসাহিত করতে তিনি কর ও টিকিটের মূল্য হ্রাস এবং সহজ ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। তার মতে, এর মধ্য দিয়ে কিছুটা হলেও বিমান পরিবহন ও পর্যটন খাতের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা যাবে।

আফ্রিকায় এখন পর্যন্ত নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মারা গেছে ১০ হাজারের বেশি মানুষ। অঞ্চলটির মধ্যে কভিড-১৯-এর সংক্রমণে সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। আফ্রিকার মোট আক্রান্তের এক-তৃতীয়াংশের অবস্থানই এ দেশটিতে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *