বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে বেশি বয়সী সিস্টার অ্যাঁদ্রে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে সুস্থ হয়েছেন। তিনি ১১৬ বছর বয়সী ফরাসি একজন নান। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তিনি ১১৭তম জন্মদিন পালন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার আসল নাম লুসিলে র্যানডন। যেসব মানুষের বয়স ১১০ বা তারো বেশি তাদের তালিকা সংরক্ষণ করে জেরোনটোলজি রিসার্স গ্রুপ নামের একটি সংগঠন। তাদের হিসেবে সিস্টার অ্যাঁন্দ্রে এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী দ্বিতীয় মানুষ। এ খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের অনলাইন সংস্করণ। ফরাসি মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে যে, সিস্টার অ্যাঁন্দ্রের বসবাস ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর টুলনে।
মধ্য জানুয়ারিতে তার করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। কিন্তু ঠিক তিন সপ্তাহের মধ্যে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ভার-ম্যাটিন নামের ফরাসি পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, আমি বুঝতেই পারিনি যে আমার করোনা হয়েছিল। উল্লেখ্য, সিস্টার অ্যাঁন্দ্রে এখন অন্ধ। তিনি চলাচল করতে ব্যবহার করেন হুইলচেয়ার। যখন জানতে পারেন তার করোনা পজেটিভ এসেছে, তখন তাকে উদ্বিগ্ন হতে দেখা যায়নি। কেয়ার হোমে তার দেখাশোনা করেন কমিউনিকেশন ম্যানেজার ডেভিড টাভেলা। তিনি বলেন, আমার কাছে সিস্টার অ্যাঁন্দ্রে কখনো তার স্বাস্থ্য নিয়ে কিছু জানতে চাননি। তবে তার অভ্যাস নিয়ে কথা বলেছেন। যেমন তিনি জানতে চেয়েছেন তার খাবার সময় অথবা ঘুমানোর সময়টা পাল্টানো যায় কিনা। রোগে অসুস্থ হওয়ায় তার মধ্যে কোনো আতঙ্ক দেখা যায়নি। অন্যদিকে অন্য অধিবাসীদের বিষয়ে তিনি ছিলেন খুব সচেতন।
ভ্যার-ম্যাটিনের মতে, ওই কেয়ার হোমে বসবাসকারী সবার ভাগ্য সিস্টার অ্যাঁন্দ্রের মতো সুখকর নয়। জানুয়ারিতে এখানকার ৮৮ জন মানুষের মধ্যে ৮১ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। এর মধ্যে ১০ জন মারা গেছেন। এখন চিকিৎসকরা সিস্টার অ্যাঁন্দ্রেকে করোনামুক্ত ঘোষণা করেছেন। ফলে তিনি এখন সবার সঙ্গে মিশতে পারবেন।