করোনাকালে নাটকের শুটিং কতটা নিরাপদ?

১লা জুন থেকে শুরু হয়েছে নাটক-টেলিছবির শুটিং। ছোট পর্দার ১৪টি সংগঠন বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়ে গত ২৮শে মে শুটিং শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। করোনার কারণে শুটিং নিয়ে ভিন্নমত থাকলেও বেশ কিছু নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলী সংগঠনের শর্ত মেনে শুটিং করছেন। তবে প্রশ্ন থেকে যায় করোনাকালে নাটকের এই শুটিং কতটা নিরাপদ? স্বাস্থ্যবিধিই কতটুকু মেনে শুটিং করা হচ্ছে? একটি শুটিং সেটে পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী, ক্যামেরাম্যান, প্রডাকশন বয় থেকে শুরু অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। এরমধ্যে সবাই কি শুটিং শেষ হওয়া পর্যন্ত সচেতন থাকতে পারছেন কিংবা নিয়ম মানতে পারছেন? বিষয়টি নিয়ে অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং কতটা সম্ভব এবং নিরাপদ এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া একটু কঠিন। এখানে নিজের ওপর সবকিছু নির্ভর করবে বলে আমি মনে করি। আমি কতটুকু সচেতন আছি সেটার ওপর আমার সুরক্ষা কাজ করবে। তবে যেহেতু শুটিং সেটে অনেক মানুষ থাকে সেখান থেকে একটা আশঙ্কা থেকে যায়।

অনেক দিন শুটিং বন্ধ থাকার কারণে কেউ কেউ শুটিং করার জন্য বিকল্প উপায় খুঁজছিলেন। আমরা সেই বিষয়গুলো মাথায় রেখে শুটিং শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন দেখছি অনেকে আবার শুটিং করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। নাটকে মূল চরিত্রে যারা কাজ করেন তাদের অনেকে এখন শুটিং করছেন না। আর যারা কাজ করছেন তারা নিজের সেফটি নিয়েই কাজ করছেন। এই সময়ের শুটিং নিয়ে কথা বলেন জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। তিনি চলতি মাসে কোনো শুটিং করবেন না বলে জানান। এ অভিনেতা আরো বলেন, এই সময়ে শুটিং করা আমি আমার জন্য নিরাপদ মনে করি না। যারা কাজ করছেন সেটি তাদের বিষয়। আমরা স্বাভাবিক সময়ে যখন কাজ করতাম তখন অনেক শুটিং হাউজের রুম অগোছালো দেখতাম। বিছানায় ময়লা থাকতো। এই সময়ে এগুলো কতটা ভালো পাবো সেটি সহজে অনুমান করা যায়। পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হলেই আমি কাজে ফিরতে চাই। আমাদের আশে পাশের সবাই কিন্তু সঠিক নিয়ম মানছেন না। বরাবরই নিজের ভেতর আতঙ্ক কাজ করে। শুটিং সেটও এর বাইরের মনে করি না। এদিকে শুটিং সেটে সংগঠনের পক্ষ থেকে মনিটরিং সেল থাকার কথাও ছিল। কিন্তু জানা গেছে, কোনো মনিটরিং হচ্ছে না। শুটিং শুরুর আগে আন্তঃসংগঠনের নেতারা জানিয়েছিলেন, তাদের নির্দেশনা মেনে শুটিং হচ্ছে কি না সেটা দেখভালের জন্য একটি মনিটরিং সেল থাকবে। এ ব্যাপারে ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক বলেন, আগে আমাদের পরিকল্পনা ছিল, মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যারা মনিটরিং টিমে থাকবে, তাদেরও নিরাপত্তা দরকার। তাছাড়া করোনায় প্রতিদিন শুটিং সেটে যাওয়াটা মুশকিল। এজন্য আমরা পরবর্তী নোটিশে জানিয়েছি, আন্তঃসংগঠন থেকে কোনো মনিটরিং সেল থাকছে না। তবে কোনো প্রয়োজনে আমাদের ইনফর্ম করলে সহযোগিতার চেষ্টা করবো।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *