ওয়াজিব কুরবানি নয়, নফল কুরবানির অর্থ গরীবদের দান করা যেতে পারে: দেওবন্দ

ইসমাঈল আযহার: [২] ঈদুল আজহায় পশু কুরবানির বিষয়টি ‘পরিষ্কার করতে’ একটি ফতোয়ার সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছে সুন্নি ইসলামি শিক্ষার প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ। তাতে বলা হয়েছে, কুরবানি ঈদুল আজহার অবিচ্ছেদ্য অংশ। টাইমস অব ইন্ডিয়া

[৩] গরীবদের অর্থদান করা কুরবানির বিকল্প হতে পারে না। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই ঈদুল ফিতরের মতোই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঈদুল আজহা তথা কুরবানির ঈদ। এই ঈদে আর্থিকভাবে সক্ষম মুসলমানরা ইসলামি রীতি মোতাবেক হালাল পশু কুরবানি করে থাকেন।

[৪] এই মহামারির প্রেক্ষাপটে ভারতের হায়দরাবাদের মাদ্রাসা জামিয়া নিজামিয়া সম্প্রতি ফতোয়া দেয়- ঈদুল আজহায় কুরবানি দিতে না পারলে মুসলিমদের গরীবদের মাঝে টাকা দান করে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
[১] মানিকগঞ্জে রাতেও যানবাহন যাত্রী ঠেঁকাতে পুলিশের চেক-পোষ্ট ≣ [১] রামেক হাসপাতালে কোভিড-১৯ ওয়ার্ডে দুইজনের মৃত্যু ≣ [১] ঈশ্বরদীতে করোনায় এশিয়া ব্যাংক কর্মকর্তার বাবার মৃত্যু, শাখা বন্ধ

[৫] এই ফতোয়ার বিষয়টি পরিষ্কার করে ব্যাখা দিয়েছে দারুল উলুম দেওবন্দ। তাতে বলা হয়েছে, কোনো মুসলিম যদি পশু কুরবানি না দিয়ে ঈদুল আজহায় পালন করলে তাহলে পবিত্র এই ধর্মীয় আচার ‘পরিত্যাগের’ জন্য তাকে দায়ী হতে হবে।

[৬] এ ব্যাপারে দেওবন্দের বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসার মুখপাত্র আশরাফ উসমানি বলেন, “ব্যাপারটি পরিষ্কার করা দরকার ছিল। ‘স্বল্প জ্ঞানের’ কিছু মানুষ এই বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা করছিল যে, পশু কুরবানি দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কুরবানি পশু কেনার অর্থ গরীবদের দান করে দিলেই যথেষ্ট।”

[৭] কিন্তু ইসলাম ওয়াজিব কুরবানির কোনো বিকল্প দেয়নি। এটা এই ঈদের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *