কভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষাপটে শিশু ও তাদের পরিবারের জন্য সিসিমপুর নির্মাণ করেছে বিশেষ একটি পর্ব। ‘এলমোর বিশ্ব সংবাদ’ নামের পর্বটি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিশু ও তাদের পরিবারকে জানতে সাহায্য করবে কীভাবে বাড়িতে থেকে খেলার মাধ্যমে মজায় মজায় শেখা যায়। ২৭ জুন সাতটি টেলিভিশন চ্যানেলে এটি প্রচারিত হবে।
সিসিমপুর সূত্রে জানা গেছে, ‘বিশেষ এ পর্বটি শিশুদের খেলার মাধ্যমে শিখতে সাহায্য করবে। সাহায্য করবে বড়দের এবং শিশুদের আনন্দ, দুঃখ, হতাশা ইত্যাদি অনুভূতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে। এলমো তার ঘরে থেকে খেলে একটা মজার খেলা। সে ‘এলমোর বিশ্ব সংবাদ’ নামে একটি অনুষ্ঠান সঞ্চালন করে, যেখানে ঘরে থেকেই তার সঙ্গে যোগ দেয় হালুম, টুকটুকি, গ্রোভার, বিস্কুট পাগলা, রায়া এবং সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শিশুরা। আর দেখায় ঘরে নিরাপদে থেকে কীভাবে তারা মজা করে সময় কাটাচ্ছে।
পর্বটিতে প্রিয় বন্ধু হালুম আর টুকটুকিকে দেখা যাবে রিপোর্টারের ভূমিকায়। ওরা হাজির হবে বিশেষ খবর নিয়ে। শিশুরা এ সময়ে কীভাবে তাদের দুঃখ বা হতাশার মতো গভীর আবেগগুলো অঙ্গভঙ্গি ও নাচের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারে। স্বাস্থ্য রিপোর্টার রায়া দেখাবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের শিশুরা কে, কীভাবে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস পালন করছে। আবহাওয়া রিপোর্টার গ্রোভার দেখাবে কীভাবে কল্পনায় আমরা বাইরের পৃথিবীকে ঘরে নিয়ে আসতে পারি। সিসিমপুরের বিশেষ রিপোর্টার বিস্কুট পাগলা বর্ণনা করবে কীভাবে পরিবারের সবাই একটি করে ‘খুশির বাক্স’ তৈরি করতে পারে, যে বাক্সে সবাই যার যার প্রিয় জিনিসটি রাখতে পারে।
সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘দেশের বেশির ভাগ শিশু নতুন রুটিনের সঙ্গে মানিয়ে চলার চেষ্টা করছে। ঠিক এ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিশু আর তার পরিবারের সদস্যরা কীভাবে খাপ খাইয়ে নেবে, তা জানানো আমাদের দায়িত্ব। শিশুর বিকাশের জন্য খেলাধুলা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা এ সময়ে আরো বেশি প্রয়োজন।’ তিনি আরো বলেন, ‘লেগো ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সিসিমপুর শিশুদের ও তাদের পরিবারের পাশে থাকবে এবং এ সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিশুদের সহায়তা করবে বলে আশা করি।’
বিশেষ পর্বটি ২৭ জুন দীপ্ত টিভিতে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে, দুরন্ত টিভিতে বেলা ১টায়, আরটিভি ও বাংলা টিভিতে বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে, মাছরাঙায় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে, বিজয় টিভিতে রাত ৯টায় ও বিটিভিতে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে। এছাড়া লেগো ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত পর্বটি বাংলাদেশসহ এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, লাতিন আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচারিত হচ্ছে।
২০০৫ সালে ইউএসএআইডির আর্থিক সহযোগিতায় তৈরি হওয়া সিসিমপুর সম্প্রতি পূর্ণ করেছে তার নিরবচ্ছিন্ন যাত্রার ১৫ বছর। এ দীর্ঘযাত্রায় সিসিমপুর শিশুদের আরো সম্পন্ন, আরো সবল ও আরো সদয় করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।