একনেকে ১২ হাজার কোটি টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন

বাঁধ নির্মাণ, সেচ ও গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নসহ ১২ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ১৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৯০ কোটি ১৪ লাখ, বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৩ হাজার ৪৩২ কোটি ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ৫৯৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এ সভায় অংশ নেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন আল রশীদ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম প্রমুখ।

৩ হাজার ৩৯৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিটি গভর্ন্যান্স (ইউডিসিজি) প্রকল্প এবং ৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিল্পকলা একাডেমি ও আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ) প্রকল্প গতকালের সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এছাড়া ৪৪৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (২য় পর্যায়) প্রকল্প, সরকারি শিশু পরিবার এবং ছোটমণি নিবাস হোস্টেল নির্মাণ/পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় হবে ৩৮৫ কোটি ২১ লাখ। প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে ৮৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

ইরিগেশন ম্যানেজমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পে ব্যয় হবে ৫৬২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ১ হাজার ৯৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে তজুমদ্দিন ও লালমোহন উপজেলায় উপকূলীয় বাঁধ পুনর্বাসন, নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্প (১ম পর্যায়), নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার সেচ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় হবে ২০৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। কিশোরগঞ্জ জেলার ১০টি উপজেলায় নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজ, ওয়েভ প্রটেকশন ও খাল পুনঃখনন প্রকল্পে ব্যয় হবে ৬৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

ঝিনাইদহ জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় হবে ৫০০ কোটি টাকা। বৃহত্তর পাবনা ও বগুড়া জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় পর্যায়) প্রকল্পে ব্যয় হবে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। ঢাকায় ডেসকো এলাকায় বৈদ্যুতিক অবকাঠামো সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২৭২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *