পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে কোনো বিদেশী ষড়যন্ত্র হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি (এনএসসি)। শুক্রবার এক বৈঠকের পর দেয়া বিবৃতিতে কমিটিটি এ কথা জানায়। এতে বলা হয়, ওয়াশিংটনে থাকা পাকিস্তান দূতাবাসে যে টেলিগ্রামটি এসেছিল তা নিয়ে আলোচনা করেছে এনএসসি। ওই টেলিগ্রামে কী ছিল তা কমিটির কাছে বর্ণনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সাবেক পাক রাষ্ট্রদূত। এরপরই কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বিদেশী ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ সাবেক প্রধানমন্ত্রী তুলেছিলেন সেটি সত্য নয়।
করাচিভিত্তিক গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, পাকিস্তানের নিরাপত্তার জন্য সর্বোচ্চ ফোরাম হচ্ছে এনএসসি। বর্তমানে এর চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।
শুক্রবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদ, জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কমিটি জেনারেল নাদিম রাজা, সেনা প্রধান জেনারেল জাভেদ বাজওয়া, নৌবাহিনী প্রধান মোহাম্মদ আমজাদ খান, বিমান বাহিনী প্রধান মার্শাল জহির আহমদ বাবর এবং অন্যান্য শীর্ষ সামরিক, বেসামরিক কর্মকর্তারা।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ, তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব, পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানিও এতে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ইমরান খানের অভিযোগ তোলা কথিত ষড়যন্ত্রমূলক চিঠি নিয়ে আলোচনা হয়। এনএসসি জানিয়েছে, প্রধান গোয়েন্দা বাহিনীগুলো আবারও নিশ্চিত করেছে দেশের বিরুদ্ধে কোনো ধরণের ষড়যন্ত্র হয়নি।
তবে এখনও সেই একই দাবি করে যাচ্ছেন পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান নিয়াজি। তিনি এরইমধ্যে দেশজুড়ে তা প্রচারও শুরু করেছেন। তিনি দাবি করছেন, বিদেশী ষড়যন্ত্রের কারণেই তার সরকারের পতন হয়েছে। নিজের দাবি প্রমাণ করতে তিনি বারবার পাক দূতাবাসে আসা চিঠির কথা বলছেন। তবে ওই চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আলোচনা করে এনএসসি। এতে তারা কোনো ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পায়নি।