ইউরোপজুড়ে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানতে শুরু করেছে। ভ্যাকসিন কার্যক্রমে এগিয়ে আছে এমন দেশগুলোও আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে এই ঢেউয়ে। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে ইউরোপে যে উচ্চমাত্রার সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল এখন সেই রেকর্ডও ভেঙ্গে গেছে। ফলে মহাদেশটির একাধিক রাষ্ট্র আবারো কঠিন লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইতালিতে শুক্রবার ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং ৩৮০ জন প্রাণ হারিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি বলেন, এক বছরেরও বেশি সময় পর এখনো আমরা জরুরি অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের নতুন আরেকটি ঢেউ সামলাতে হচ্ছে। এটি প্রতিরোধে যা যা করা দরকার আমরা করবো।
সোমবার থেকে ইতালীর বেশিরভাগ এলাক কঠিন লকডাউনের অধীনে চলে যাচ্ছে। শুধুমাত্র অতি প্রয়োজনীয় কেনাকাটা ছাড়া কেউ বাসার বাইরে যেতে পারবে না। বার, রেস্তোরাসহ সকল দোকান বন্ধ থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ফ্রান্সেও একই ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ার ভেরান বলেন, প্রতি ১২ মিনিটে প্যারিসে একজন আইসিইউতে ভর্তি হচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কারফিউ জারি করেছেন। একইসঙ্গে অন্যান্য সামাজিক দূরত্ব রক্ষাকারী পদক্ষেপও নিতে হবে নাগরিকদের। দেশটির বিশেষজ্ঞরা সমগ্র ফ্রান্সজুড়ে লকডাউন জারি করার আহ্বান জানাচ্ছেন।
জার্মানিতে শনিবার একদিনে প্রায় ১৩ হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পোল্যান্ডে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৭ হাজার ২৬০ জন। নভেম্বরের পর এটিই সর্বোচ্চ সংক্রমণ। সেখানেও নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। সংক্রমণের উচ্চহার লক্ষ্য করা গেছে হাঙ্গেরি ও চেক রিপাবলিকেও। বিশেষজ্ঞরা সাবধান করে জানিয়েছেন, সামনের সপ্তাহগুলোতে বড় ঢেউ আসছে।