আমি অতটা প্রতিভাবান নই- ইরেশ যাকের

ইরেশ যাকের। ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তাকে দেখা গেছে ‘চোরাবালি’, ‘জিরো ডিগ্রী’, ‘স্বপ্নজাল’ ও ‘দেবী’ সিনেমায়ও। সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে তার ‘মুখোশ’ সিনেমাটি। সেখানে প্রযোজকের ভূমিকায় অভিনয় করে নজর কেড়েছেন। ইফতেখার শুভ পরিচালিত এ সিনেমায় মোশাররফ করিম, আজাদ আবুল কালামদের পাশাপাশি বিশেষভাবে তার চরিত্রটি প্রশংসা পাচ্ছে। এই সিনেমা থেকে কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন? এ অভিনেতা মানবজমিনকে বলেন, আমার সহকর্মীরা সব সবসময় বলে যে, সবাই তাদের ফোন করে কাজের প্রশংসা করে। তবে আমার সঙ্গে কোনোদিন এমনটা হয়নি।
আমাকে কেউ সেভাবে মুখের উপর প্রশংসা করে না। তাই আমি বলতে পারবো না প্রতিক্রিয়ার কথা। যেহেতু সরাসরি কিছু শুনিনি। আপনারা যেহেতু শুনেছেন, মানুষজন ভালো বলছেন। তার মানে কিছুটা হলেও ভালো হয়েছে। এদিকে, শুধু ‘মুখোশ’ নয় সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ইরেশ যাকেরের আরেক সিনেমা ‘গুণিন’-থেকেও প্রশংসা পেতে শুরু করেছেন। এই সিনেমাটি নিয়ে প্রত্যাশা কেমন? গুণী এ অভিনেতা বলেন, আমি মন থেকে আশা করছি ‘গুণিন’- সিনেমাটা দর্শকদের ভালো লাগবে। কারণ, ভালো লাগার মতো সিনেমা এটি। আমার অনেক সুন্দর অভিজ্ঞতা হয়েছে কাজ করতে গিয়ে। আসলে অনেকদিন পর তৃপ্তি পেয়েছি এই সিনেমায় অভিনয় করে। হাতে আর কী কী সিনেমা আছে? সেগুলো কোন পর্যায়ে? ইরেশ যাকের বলেন, আকরাম খানের পরিচালনায় ‘নকশি কাঁথার জমিন’ নামে একটা সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম । সেটা এই মাসে রিলিজ হবে। এছাড়াও পাইপলাইনে ‘বাড়ির নাম শাহানা’ আছে। লীসা গাজী পরিচালিত এই সিনেমার কাজ শেষ করেছি আগে। এছাড়া জাহিদুর রহিম অঞ্জনের পরিচালনায় ‘চাঁদের অমাবস্যা’ সদ্য শেষ করলাম। আর এপ্রিল মাসে গিয়াস উদ্দিন সেলিম ভাইয়ের পরিচালনায় ‘কাজল রেখা’ সিনেমার শুটিং শুরু হচ্ছে।
আপনাকে বড় পর্দায় প্রধান চরিত্রে দেখা যায় না। সেভাবে নিয়মিতও অভিনয় করেন না। কারণ কী? হেসে ইরেশ যাকের বলেন, আমি তো অনেক চেষ্টা করছি। কিন্তু পরিচালকরা কেউ আমাকে লিড রোলে নিচ্ছে না। হা হা হা…। আর নিয়মিত বড় পর্দায় কাজ করি না। কারণ, আমি অতটা প্রতিভাবান নই যে একসাথে অনেকগুলো কাজ করে ভালো করতে পারবো। তাই বিরতি নিয়ে নিয়ে কাজ করি। সামর্থ্য অনুযায়ী ঠিকঠাকভাবে করার চেষ্টা করছি। আপনি যে কাজগুলো করেন মানসম্মত হয়। সিনেমা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোন বিষয়টাকে গুরুত্ব বেশি দেন? ইরেশ যাকের বলেন, আমার কাছে সবচেয়ে জরুরি মনে হয় নিষ্ঠার জায়গাটা। কোনো পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে যখন তার মধ্যে মনোযোগ, চেষ্টা দেখতে পাই, তখন তার কাজের সঙ্গে যুক্ত হই।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *