ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী রেখা। ৪০০ এর বেশি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। রেখার আসল নাম ভানুরেখা যামিনী গণেশন। খুব অল্প বয়সে সিনেমায় কাজ করতে আসেন রেখা। তার সৌন্দর্য নিয়ে যতটা চর্চা হয় তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও চর্চার অন্ত নেই। রেখার বাবা ছিলেন প্রযোজক আর মা ছিলেন দক্ষিণী সিনেমার অভিনেত্রী। তবে তাই বলেই রেখার জীবনে সবটাই যে খুব মসৃণভাবে হয়েছে এমনটা একেবারেই না। কিন্তু সিনে দুনিয়ায় পা রেখে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়াটা ঠিক কতটা সহজ! প্রশ্ন থাকলেও উত্তরটা হয়তো সহজ নয়।
হিন্দি ছবিতে কাজ করতে এসে একের পর এক বাধা পেতে থাকেন রেখা। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন অভিনেত্রী। সেই অভিজ্ঞতার কথা সামনে আসে রেখার বায়োগ্রাফিতে। সালটা ১৯৬৯। ‘অনজানা সফর’ ছবির শুটিং-এর মাঝেই রেখার ঠোঁটে সপাট চুম্বন করেছিলেন অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। চোখ বেয়ে সেদিন জল পড়েছিল রেখার। আসলে সেই সময় বিশ্বজিৎ ছিলেন মুম্বই ইন্ডাস্ট্রির ডাক সাইটের অভিনেতা। একের পর এক ছবির অফার ছিল তার কাছে। ‘অন-জনা সফর’- এর সময় বিশ্বজিৎ-এর বয়স ৩০। আর রেখার বয়স তখন ১৫। ছবির পরিচালক রাজা নাওয়াথে অ্যাকশন বলার পরই রেখাকে সপাটে চুম্বন করতে শুরু করেন। টানা পাঁচ মিনিট চলে সেই দৃশ্যের শুট। এই পুরো দৃশ্যের শুটিং হওয়ার একদিকে রেখার চোখ বেয়ে জল গড়াতে শুরু করলো, এদিকে খুশি ছিল গোটা টিম। রেখা তার বই ‘রেখা: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’তে লেখেন, মুম্বই স্টুডিওতে চলছিল এ ছবির শুটিং। ছবির প্রথম শিডিউলে ছবির পরিচালক রাজা নাওয়াথে বিশ্বজিৎ মিলে প্ল্যানিং করেন। সেই দিনে আমার ও বিশ্বজিতের রোমান্টিক সিন ছিল। রেখা তার বইতে জানান, পরিচালক রাজা নাওয়াথে অ্যাকশন বললেন সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বজিৎ রেখাকে নিজের বাহুডোরে জড়িয়ে ঠোঁটে চুম্বন করতে শুরু করেন। রেখা প্রায় কিছু বুঝেই উঠতে পারছিলেন না। আসলে এই কিসিং সিনটির বিষয়ে আগে কিছু জানানো হয়নি রেখাকে। রেখার কাছে পুরো ঘটনাটাই ছিল আচমকার। এই বিষয়ে পরে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, এই পুরো প্ল্যানটা ছিল পরিচালকের। তার সিনেমায় এ রকমই একটা দৃশ্যের প্রয়োজন ছিল।