আমরা প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করছি : পলক

নভেল করোনাভাইরাসের কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রযুক্তিই জীবনের নিরাপদ চালিকা শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘এর ফলে প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অনেকটা সবার উপলব্ধিতে এসেছে। বর্তমানে আমরা প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করছি। করোনা পরবর্তী সময়েও এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে এবং গুরুত্ব বাড়বে, কমবে না।’

প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রী গতকাল বুধবার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের ডিজিটাল সেবা ‘সোনালী ই-সেবা’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

পলক বলেন, ‘সময়, অর্থ ও হয়রানি রোধ করে মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য আইসিটি বিভাগ দুই হাজার ৮০০ সেবাকে চিহ্নিত করেছে। ৬০০ সেবা ইতোমধ্যে ডিজিটাল হয়েছে।

ডিজিটাল লেনদেন ও ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে তুলতে আইসিটি বিভাগ নিরন্তর কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে পলক বলেন, ইন্টার অপারেবল ডিজিটাল ট্রাঞ্জেকশন সুবিধা চালু করতে বাংলাদেশে ব্যাংকের সঙ্গে আইডিটিপি নামে আরেকটি প্লাটফর্ম গড়ে তোলা হচ্ছে।

সোনালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান, জাতীয় পরিচয় শনাক্তকরণ ডিজিটাল সেবা ‘পরিচয়’ এর প্রধান নির্বাহী রবিউল আহসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, তথ্য ও প্রযুক্তি যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সফটওয়্যার ‘পরিচয়’ ব্যবহার করে দুই মিনিটেই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য একটি ই-সেবা চালু করছে সোনালী ব্যাংক।

এর মাধ্যমে সামজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতার ভাতাভোগী বিশেষ করে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা ইত্যাদি, গার্মেন্টস শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশাচালক, কৃষক, ট্যাক্সি ড্রাইভার, মৎসজীবী, চাকরিজীবী (বেতন), পেনশনভোগীসহ সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ঘরে বসেই ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ সৃষ্টি হল।

এটি গুগল প্লে-স্টোরে পাওয়া যাবে। অ্যাপটি ব্যবহারে সোনালী ব্যাংকে হিসাব খোলার জন্য গ্রাহকদেরকে স্বশরীরে ব্যাংকের কোন শাখায় যাওয়ার দরকার হবে না। গ্রাহকের ছবি ও ব্যক্তিগত তথ্য অটোমেটিক পদ্ধতিতে যাচাই-বাচাই করার জন্য আইসিটি বিভাগের সফটওয়্যার ‘পরিচয়’ ব্যবহার করবে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ ‘পরিচয়’ সফটওয়্যার গ্রাহকের যে কোন তথ্য (কেওয়াইসি) নিমিষেই বাংলাদেশ জাতীয় ডিজিটাল আর্কিটেকচার (বিএনডিএ) এর সাথে অটোমেটিক মিলিয়ে নিতে পারবে কর্তৃপক্ষ।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *