চলতি বছরের প্রথমার্ধে পাম অয়েলের উৎপাদন সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি পশ্চিম মালয়েশিয়ার বেশ কয়েকটি রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি পণ্যটির সরবরাহকে মন্দার মুখে ঢেলে দিতে পারে। এসব উদ্বেগের কারণে গতকাল ফিউচার মার্কেটে প্রায় ৪ শতাংশ কমেছে পাম অয়েলের দাম। খবর নাসডাক ও রয়টার্স।
বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে মার্চে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন পাম অয়েলের দাম ১৮৬ রিঙ্গিত বা ৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৪ হাজার ৮৮৩ রিঙ্গিতে (১ হাজার ১৭০ ডলার ৯৮ সেন্ট)। এর মধ্য দিয়ে তিন সপ্তাহের সর্বোচ্চে উঠে এসেছে পণ্যটির দাম।
মালয়েশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক। নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দেশটিতে শ্রমিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ কারণে ২০২১ সালে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতার মধ্যে ছিল পাম অয়েল উৎপাদন। অন্যদিকে দেশে দেশে লকডাউন শিথিল হতে থাকায় পণ্যটির চাহিদায় উল্লম্ফন দেখা দেয়। সরবরাহ ও চাহিদায় ভারসাম্যহীনতা তৈরি হওয়ায় গত বছর ৩০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে পাম অয়েলের দাম। এ নিয়ে টানা তিন বছর ধরে পণ্যটি বাজার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। ওই বছর পণ্যটির গড় দাম দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১৪৯ দশমিক ৫৭ রিঙ্গিতে (৯৯৫ ডলার ৩৪ সেন্ট)।