মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বাধীন কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে বাংলাদেশ ফাইজারের টিকা পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। গতকাল বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এমনটি জানান তিনি।
খুরশীদ আলম বলেন, কোভ্যাক্সের টিকা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে আমাদের দেবে বলেছে, ফাইজারের এক লাখ ডোজ টিকা দেয়া হবে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ২০ লাখ ডোজও আমরা পাব। বেক্সিমকোর উচ্চতর মহল আমাদের জানিয়েছে, ২০ লাখ ডোজ যথাসময়ে আসবে। যাদের আমরা এরই মধ্যে প্রথম ডোজ দিয়েছি, তাদের সম্পূর্ণভাবে দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারব।
চীন থেকে টিকা পাওয়া যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীনের সিনোফার্মা পাঁচ লাখ ডোজ উপহার দিয়েছে। আর কিছু টিকা তারা তাদের কর্মীদের ওপর প্রয়োগের অনুমতি চেয়েছে। এ বিষয়ে ওষুধ প্রশাসন তাদের অনুমোদন দিয়েছে। আমরা এ টিকা গ্রহণ করব বলে তাদের জানিয়েছি। তারা এ উপহার যেদিন আমাদের দেবে, আমরা সে সময় এটি গ্রহণ করব। এ টিকা আমাদের দেশের লোকের ওপর প্রয়োগ করা হবে কিনা তা জাতীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।
জানা যায়, গত নভেম্বরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ‘কোভিশিল্ড’ টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে সরকার। টিকার দাম আগাম পরিশোধ করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তির শর্ত অনুসারে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে আসার কথা। গত জানুয়ারিতে ৫০ লাখ ডোজ টিকা এলেও ফেব্রুয়ারিতে এসেছে মাত্র ২০ লাখ ডোজ। মার্চ ও এপ্রিলে কোনো টিকা আসেনি। এর মধ্যে গেল মাসে টিকা রফতানিতে স্থগিতাদেশ জারি করেছে ভারত সরকার। এতে আগামী কয়েক মাস টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। দেশে গতকাল পর্যন্ত ৫৮ লাখ ১৮ হাজার ৪০০ নারী ও পুরুষকে প্রথম ডোজের টিকা দেয়া হয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন ২৩ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৬ ব্যক্তি।
উল্লেখ্য, এর আগে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশকে ফাইজার-বায়োএনটেকের আট লাখ ডোজ টিকা দিতে চেয়েছিল কোভ্যাক্স। সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর প্রয়োগের শর্তে মোট জনসংখ্যার শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশের জন্য এ টিকা দেয়ার প্রস্তাব করেছিল বৈশ্বিক জোটটি। পরে দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ শুরু করা হলে মত বদলায় জোটটি। তখন অক্সফোর্ডের টিকা দেয়ার কথা জানানো হয়।