অ্যাপে এডিস মশার প্রজননস্থলের ডাটাবেজ সংরক্ষণ করবে ডিএনসিসি

নিজেদের তৈরি অ্যাপের মাধ্যমে এডিস মশার প্রজননস্থলের ডাটাবেজ সংরক্ষণ করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

এদিকে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে আজ থেকে ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান বা চিরুনি অভিযান শুরু করছে ডিএনসিসি।

গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১০ দিনব্যাপী এ অভিযান শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত পরিচালিত হবে। চিরুনি অভিযান পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। আবার প্রতিটি সেক্টরকে ১০টি সাবসেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের একটি সেক্টরে অর্থাৎ ১০টি সাবসেক্টরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। এভাবে আগামী ১০ দিনে সারা ডিএনসিসিতে চিরুনি অভিযান সম্পন্ন করা হবে।

প্রতিটি সাবসেক্টরে ডিএনসিসির চারজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও একজন মশক নিধন কর্মী, অর্থাৎ প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৪০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও ১০ জন মশক কর্মী ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন বাড়ি, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোথাও এডিস মশার লার্ভা আছে কিনা কিংবা কোথাও তিনদিনের বেশি পানি জমে আছে কিনা কিংবা ময়লা-আবর্জনা আছে কিনা; যা এডিস মশার বংশবিস্তারে সহায়ক, তা পরীক্ষা করবেন।

চিরুনি অভিযান চলাকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নয়জন কীটতত্ত্ববিদ, ডিএনসিসির তিনজন কীটতত্ত্ববিদ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডিএনসিসির চিরুনি অভিযানসহ এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চিরুনি অভিযান চলাকালে যেসব বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা কিংবা এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যাবে, তার ছবি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য তাত্ক্ষণিকভাবে একটি অ্যাপে সংরক্ষণ করা হবে। এর ফলে চিরুনি অভিযান শেষে ডিএনসিসির কোন কোন এলাকায় এডিস মশা বংশবিস্তার করে তার একটি ডাটাবেজ তৈরি হবে। ডাটাবেজ অনুযায়ী পরবর্তী সময়েও তাদের মনিটর করা সহজ হবে। অ্যাপটি তৈরি করেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মে থেকে শুরু করে ঈদুল ফিতরের আগ পর্যন্ত পাঁচটি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। ওই সময় ৯ হাজার ৪৬৩টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৮৭টিতে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া যায়।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *