অর্থবছরের আট মাসে রাজস্ব ঘাটতি ১৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে ২০২১-২২ অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত রাজস্ব আহরণে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এ সময়ে বন্দর ব্যবহার করে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৯৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বিপরীতে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ২৭৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। তবে ফেব্রুয়ারিতে লক্ষ্যমাত্রার অধিক ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৩৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আমদানির ধারা অব্যাহত থাকলে অর্থবছরের বাকি চার মাসে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার অধিক রাজস্ব আহরণ করা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮৭ কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব আহরণ হয়। যার কারণে চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা বাড়িয়ে ৪৫৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগস্টে ৪৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ২৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বরে ৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৩৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। অক্টোবরে ৩৯ কোটি ২ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। নভেম্বরে ৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৩২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ডিসেম্বরে ৩০ কোটি ২৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৩২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। জানুয়ারিতে ৩৪ কোটি ১২ লাখ টাকার বিপরীতে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৪৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ফেব্রুয়ারিতে ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৩৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা এসএম নুরুল আলম খান বলেন, এমনিতে বিগত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে এনবিআর কর্তৃক অনেক বেশি রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। আর রাজস্ব আদায় নির্ভর করে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির ওপর। যখন পণ্য আমদানি বাড়ে তখন রাজস্ব আহরণ বাড়ে আবার যখন পণ্য আমদানি কমে তখন রাজস্ব আহরণও কমে।

তিনি জানান, মাঝে ১৪ দিনের মতো বন্দর দিয়ে চিপস পাথর আমদানি বন্ধ ছিল এখন চালু হলেও সেভাবে পাথর আমদানি হচ্ছে না, এতে করে রাজস্ব আহরণে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এ সময় বন্দরে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ আগের চেয়ে কমে আসছে বলেও জানান তিনি। ২০২১-২২ অর্থবছরের গত আট মাসে বন্দর থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা কম রাজস্ব আহরণ করেছে। এ সময় বন্দর থেকে ২৭৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ করেছে, যা ২০২০-২১ অর্থবছরের আট মাসে আদায়কৃত ২২০ কোটি ২৮ লাখ টাকার তুলনায় ২৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ বা ৫৭ কোটি টাকা বাড়তি। অর্থবছরের শেষ চার মাসে সবসময় বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি পায়, এছাড়া বিগত অর্থবছরের মতো চলতি অর্থবছরে রেয়াতি হারে চাল আমদানির সুযোগ দিলে লক্ষ্যমাত্রার অধিক রাজস্ব আহরণ করা সম্ভব বলেও মনে করেন এ কর্মকর্তা।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *