অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষিপণ্য উৎপাদনকে কাজে লাগাতে হবে

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে দেশের স্বাস্থ্য খাতকে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী করতে হবে। কারণ মানবশক্তি ছাড়া কোনোভাবেই অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করা যাবে না। এ ছাড়া করোনাভাইরাস বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থার যে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে, এ পরিবর্তন কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আর অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এখন কৃষিপণ্য উৎপাদনকে কাজে লাগাতে হবে। সে সুযোগটি কাজে লাগানোর এখনই সঠিক সময়। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) ওয়েবিনার থেকে এসব বক্তব্য উঠে এসেছে।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক টেকসই, পুনরুদ্ধার, অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ এবং এফডিআই নিয়ে এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে এফবিসিসিআই। গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই আইকনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। এ ছাড়া আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বর্তমান সময়ে দেশের সব স্তরের মানুষ দৃষ্টান্তমূলক একটি মানবতা দেখিয়েছে। দেশের অর্থনীতি উন্নয়নের জন্য এফবিসিসিআই একটি উপদেষ্টা কাঠামো প্রণয়ন হিসেবে কাজ করছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সম্ভাব্য প্রভাব বের করতে সরকারের বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের নেতা, স্টেকহোল্ডার, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও শিল্পনেতাদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করে চলছে এফবিসিসিআই। দেশের ছোট ছোট উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীর কাছে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ পৌঁছে দেওয়ার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রে এটিই প্রথম পরামর্শমূলক ব্যবস্থা, যা ব্যসায়ীদের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছি।

সালমান এফ রহমান বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের স্বাস্থ্য খাতকে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী করতে হবে। কারণ মানবশক্তি ছাড়া কোনোভাবেই অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করা যাবে না। সেজন্য টেলিমেডিসিন সেবাকে আরও বেশি সক্রিয় করতে আমাদের অবশ্যই স্বাস্থ্য খাতের মধ্যে আইটি ব্যবস্থাকেও একত্রিত করতে হবে। এরই মধ্যে মহামারি মোকাবিলার জন্য প্রধানমন্ত্রী পাঁচ হাজার নতুন চিকিৎসক ও তিন হাজার টেকনিশিয়ান নিয়োগ করেছেন। এ ছাড়া দেশের জেলাভিত্তিক হাসপাতালগুলোয় আইসিইউর ব্যবস্থা করেছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বর্তমান আমরা অনেকটাই সংকটের মধ্যদিয়ে যাচ্ছি। এই মহামারির সময়ে ব্যবাসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা, রেডিমেন্টস গার্মেন্ট নিয়ে বিভিন্ন দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন দেশের সব ধরনের ব্যবসায়ীরা। এসব বিষয়ে দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। আমরা এরই মধ্যে অর্থনৈতিক চাকা সচল করে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এ ছাড়া আসন্ন বাজেটেও ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আমরা আশা করছি, শিগগিরই সব সংকট কাটিয়ে দেশকে আবার উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, দেশের এই মহামারির সময়ে অর্থনৈতিক চাকা সচল রেখে দেশের স্বাস্থ্য খাত, শিল্প খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *