অতিথি পাখিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথ

জিয়াবুল হক: [২] দিন দিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা। আর তার সঙ্গে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ- পথে নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরের আশেপাশে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখি। নানা জাতের অতিথি পাখির কলকাকলিতে ইতোমধ্যে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন উপকূল ও সেন্টমার্টিন দ্বীপ।

[৩] এসব অতিথি পাখি দেখতে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। পাখি কখনো নীল-সাদা আকাশে পাখা মেলে উড়ে মানুষকে আনন্দ দিচ্ছে, আবার কখনো বঙ্গোপসাগর কিংবা নাফ নদীর জলে জলকেলি করছে। ডুব দিয়ে শিকার করছে মাছ। অতিথি পাখির এমন খুনসঁটি আর ছোটাছুটি সবার মনকে করে তুলছে প্রফুল্ল।

[৪] দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আনন্দ বাড়িয়ে দিচ্ছে এই সব অতিথি পাখি গুলো। বিশেষ করে টেকনাফ দমদমিয়া জেটি ঘাট দিয়ে জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে নানা জাতের অতিথি পাখির উপস্থিতি বেশ লক্ষ করা যাচ্ছে। এসব এলাকায় উপকূলজুড়ে বিভিন্ন প্রান্তে দলে দলে বাসা বাঁধছে নানা দেশের অতিথি পাখি।

[৫] ২৫ জানুয়ারি সকালের দিকে টেকনাফ দমদমিয়া জেটি ঘাটে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে আসা ঢাকা মিরপুর এলাকার সুজন মাহমুদ, মো. আলম, শহিদুল ইসলামসহ একাধিক যুবক জানান, বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখির বেশির ভাগই এখন বাসা বেঁধেছে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন এলাকার উপকূলীয় প্যারাবন এবং গ্রাম অঞ্চলের গাছগাছালিতে। শীতের অনুভূতিতে সেন্টমার্টিনের সাগরকে ছিন ছিন শব্দে বিভোর করে তুলেছে অতিথি পাখির দল। এমন দৃশ্য দেখে আমাদের শত শত দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভাল উপভোগ করেছে।

[৬] ঝাঁকে ঝাঁকে দূরদেশি পাখি এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপের হোটেলের কটেজের ছাদে, গাছের ডালে, পর্যটকবাহী জাহাজের ছাদে ও সাগরের বিভিন্ন খুঁটিতে বসে আপন মনে কলকাকলি করছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *