শাহজালালের শিক্ষার্থীদের অনশনের ১২০ ঘণ্টা পার

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযু‌ক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফ‌রিদ উদ্দিন আহমেদের পদত‌্যাগের দা‌বিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনের ১২০ ঘণ্টার পার হয়েছে আজ সোমবার বেলা ২টা ৫০ মি‌নিটে। দীর্ঘ অনশনের কারণে শারী‌রিকভাবে দুর্বল হলেও দা‌বি আদায়ে প্রত‌্যয়ী অনশনকারীরা। প্রথম আলো

১৯ জানুয়ারি বুধবার বেলা ২টা ৫০ মি‌নিট থেকে ২৪ শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন। তবে পরের দিন এক শিক্ষার্থীর বাবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হলে তিনি বা‌ড়িতে ফিরে যান। সেই থেকে অনশন কর্মসূ‌চি পালন করে যা‌চ্ছিলেন ২৩ শিক্ষার্থী। দীর্ঘ অনশনে অনেকেই অসুস্থ হতে শুরু করেন। হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত তাঁদের কেউ অনশন ভাঙেন‌নি। তাঁদের সঙ্গে গতকাল রোববার অনশনে যোগ দিয়েছেন আরও পাঁচ শিক্ষার্থী।

আজ বেলা তিনটা পর্যন্ত অনশনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৫ জন হাসপাতালে চি‌কিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে এক শিক্ষার্থী অস্ত্রোপচারের পরও অনশন ভাঙেন‌নি।

উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, শারীরিক দুর্বলতার পাশাপাশি শীতের মধ্যে পাঁচটি রাত তাঁরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে কাটিয়েছেন। শারী‌রিক কষ্ট হলেও, মনোবল ভাঙে‌নি তাঁদের। তাঁদের দা‌বি আদায় হবেই, সেই আশা তাঁদের মনে।

অনশনকারী শাহ‌রিয়ার আবে‌দিন বলেন, ‘দীর্ঘ ১২০ ঘণ্টা পার হলেও আমরা মুখে এক ফোঁটা পা‌নিও পান করিনি। আমরা আমাদের এক দফা দা‌বি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন ভাঙব না। এতে জীবন দিতে হলেও প্রস্তুত আছি।’
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন মোহাইমনুল বাশার বলেন, ‘বিশ্ববিদ‌্যালয়ের উপাচার্যের চেয়ার অনশনকারী ২৭ শিক্ষার্থীর জীবনের চেয়ে বেশি দা‌মি হয়ে গেছে। এ কারণে উপাচার্য তাঁর চেয়ার আঁকড়ে ধরে বসে আছেন। আমরা আমাদের দা‌বির বিষয়‌টি বিশ্ববিদ‌্যালয়ের আচার্যের কাছে পাঠিয়েছি। আশা কর‌ছি দ্রুতই আমাদের দা‌বি বাস্তবা‌য়িত হবে।’নিরাপত্তা কখনো কেনা যায় না বললেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতাখুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাহিদুর রহমান মারা গেছেনডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন আনসারের ৩০ জন মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে ও তাঁদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *