উচ্চতর ডিগ্রী শেষে বেশিরভাগ তরুণ ক্যারিয়ারের লক্ষ্য হিসেবে বিসিএস ক্যাডার হতে চাইলে অধিকাংশের পক্ষে তা সম্ভব হয় না। এবার ৪১ তম বিসিএস-এ দুই হাজার ১৬৬ শূন্য পদের জন্য পরীক্ষা দিয়েছেন প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ পরীক্ষার্থী। অর্থাৎ একটি আসনের বিপরীতে গড়ে ২২০ জন পরীক্ষা দিচ্ছেন।
[৩] শিক্ষার্থীর একটি বড় অংশ বিসিএস-এর প্রস্তুতি নিতে গিয়ে অন্য কোনও ক্যারিয়ার গড়তে চেষ্টা করেন না। ফলে অকৃতকার্য হলে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েন।
[৪] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নম্রতা তালুকদার তার অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার পরিবর্তে গত কয়েক বছর ধরে ৪১তম বিসিএস এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন। এবারের চেষ্টায় ঝরে পড়লেও সামনের আরও তিন চার বছর এই বিসিএস এর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
সমন্বিত চাষাবাদে ভাগ্য বদলেছেন ভূমিহীন একদল কৃষকের ≣ [১] আগুন লাগার পর হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে যান ডাক্তার-নার্স ≣ [১] গঞ্জালেজের মাথায় আঘাত করায় নেইমার দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ
[৫] তিনি বলেন, অন্যান্য পেশায় যারা আছে তারা বেতন, কাজের পরিবেশ নিয়ে বেশ হতাশ। আর বাংলাদেশে স্বচ্ছলভাবে, সম্মানের সাথে থাকতে গেলে বিসিএস বেস্ট অপশন।
[৬] এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল, প্রযুক্তি, চিকিৎসা, কৃষি ইত্যাদি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেও শুধু বিসিএস এর পেছনে ছুটছেন তাদের পেছনে ব্যয়কৃত সরকারি খরচের পুরোটাই অপচয় হচ্ছে।
[৭] শুক্রবার বিবিসি বাংলায় পোশাক প্রস্ততকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমই এর সভাপতি এবং স্টারলিং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কেউ দক্ষ হলে বাংলাদেশের সরকারি চাকরির মতো বেসরকারি সেক্টরেও ক্যারিয়ার এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
[৮] তিনি বলেন, এখন দেশে অনেক ইন্ডাস্ট্রি হচ্ছে। এসব খাতে আমাদের টেকনিক্যালি দক্ষ জনবলের প্রয়োজন হয়। এখানে বেতনও ভালো, সুযোগ সুবিধাও দেয়া হয়। কেউ যদি ওইসব পদের জন্য নিজেকে দক্ষ করে তোলে, তাহলে তাদের ক্যারিয়ারে এগিয়ে যাবে। সম্মানও পাবে।
[৯] ব্র্যাকের হিউম্যান রিসোর্সের পরিচালক শারমিন সুলতান জয়া বলেন, ক্যারিয়ারের লক্ষ্য শুধুমাত্র বিসিএস-কেন্দ্রিক না রেখে বেসরকারি আরও নানা ক্ষেত্রে নিজেকে যোগ্য করে তোলা বা উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যাপারে জোর দেয়া উচিত।
[১০] যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। এতে আপনি বিসিএসে উত্তীর্ণ হতে নাপারলে আপনার হাতে একাধিক সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের অনেক স্টার্টআপ কোম্পানি বিশ্বমানের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। যেমন, পাঠাও, ইভ্যালি। তাই চিন্তাধারার পরিবর্তন করা উচিত।