সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলের মাঠ জুড়ে এই শীতের সময় মাঠে মাঠে সরিষা ফুলের হলুদ রঙের সমারোহ। আর এই সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে ভীনজেলার মৌ-চাষিরা। সরিষা ক্ষেতের পাশেই বসানো হয়েছে মধু সংগ্রহের মৌ-বক্স। সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহ করেই জীবিকা নির্বাহ করে ভীনজেলার মৌ-চাষিরা।
[৩] উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নে এ বছর ৮ শত হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে ১০০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন কৃষক।
[৪] উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামে হলুদ সরিষা ক্ষেতের পাশে সারি বেঁধে বসানো হয়েছে মৌ-বক্স।সেই সুগন্ধ হলুদ সরিষা ফুলের উপর মৌমাছি বসে মুখে মধু নিয়ে ভন ভন শব্দ করে ছুটে আসছে মৌ-বক্সের দিকে।আশেপাশে ভন ভন শব্দ করা হাজারো মৌমাছির মধু সংগ্রহ দেখে মধুচাষীসহ স্থানীয় মানুষ আনন্দ উপভোগ করছে ও সেই সুন্দর মুহূর্ত দেখতে ছুটে আসছে অনেক দূরদূরান্ত থেকে নানা বয়সের মানুষ। এদিকে মধুচাষীরা মৌ-বক্স ও ক্ষেতের পাশেই তাবু টানিয়ে তৈরি করেছে অস্থায়ী বাসস্থান।
[১] ডেমোক্রেট প্রাইমারিতে প্রকৃতপক্ষে জিতেছেন স্যান্ডার্সই, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তারই মনোনয়ন পাবার সম্ভাবনা বেশি ≣ [১] রাজধানীতে চরম দুর্দশা ও হতাশাগ্রস্ত দুগ্ধ খামারিরা, প্রণোদনার আওতায় আনতে সরকারের প্রতি উদ্যোক্তাদের আহ্বান ≣ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় প্রতি বছর ব্যয় বাড়ছে, গাড়ি চলছে হাতের ইশারায়
[৫] জেলা গোপালগঞ্জ থেকে আসা মোঃ ইয়াসিন কবির সাংবাদিকদের জানান,প্রায় ১০ দিন ধরে এই উপজেলাতে আমরা এসেছি ৩০ দিনের সফরে মোট ১৫০ টি বক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। এবার আবহাওয়া খারাপ থাকায় মধু উৎপাদন কিছুটা কম হচ্ছে ১০-১২ দিন পর পর ৫-৬ মন মধু উৎপাদনে সক্ষম হবে।বর্তমান খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মধু তিনশ’ থেকে সাড়ে তিনশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে তবে মধুর বাজারে খুব চাহিদা আছে ক্রেতাদের।
[৬] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত জানান, ‘মধু চাষ করে একদিকে যেমন চাষিরা লাভবান হচ্ছে, অন্যদিকে মৌমাছি সরিষার পরাগায়ণে পরোক্ষভাবে সহায়তা করে। মৌমাছির মাধ্যমে সরিষার ফলনও প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে যায়।উপজেলার প্রায় ১৫০ টি মৌ চাষের বক্স স্থাপন করেছে ভীনজেলার
[৭] মধুচাষিরা। এদেরকে আমরা সকল ধরনের সহযোগিতা করে থাকি। বাজার জাতকরণের সমস্যা হচ্ছে কী না সেটাও নজর রাখি।