যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঁচ কর্মকর্তার পর এবার আট বন্দি কিশোরকে গতকাল শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। এ নিয়ে বন্দি তিন কিশোর হত্যা মামলায় আসামি হলো ১৩ জন। রোববার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান তাদের গ্রেফাতার দেখান। গত শনিবার মামলার পাঁচ সাক্ষীর আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ওই আট কিশোরের নাম আসে।
‘চুল কাটা নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে’ মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই মারপিট করা হয়। ১৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে হতাহতের ঘটনায় পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে বলে জানান, যশোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
গ্রেফতারকৃত বাকি আট আসামি হলো গাইবান্ধা সদর উপজেলার জোদ্দকুড়ি সিং (বানপাড়া)-এর আমজাদ আলীর ছেলে খলিলুর রহমান তুহিন, নাটোরের সিংড়া উপজেলার জোড় মল্লিক গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে হুমাইদ হোসেন, পাবনার বেড়া উপজেলার সান্যালপাড়া গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার ছেলে ইমরান হোসেন, একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মনোয়ার হোসেন, রাজশাহীর মতিহার থানায় কাজলা গ্রামের তজিবরের ছেলে পলাশ ওরফে শিমুল, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চাপুভেলা কোপা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রিফাত আহেমদ রিফাত, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার আনিসুর রহমান এবং নাটোর উপজেলার কামারদিয়া গ্রামের কামাল জোয়ার্দারের ছেলে মোহাম্মদ আলী।
এর আগে গ্রেফতারকৃতরা হলেন যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক ও সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক প্রবেশন অফিসার মাসুম বিল্লাহ, কারিগরি প্রশিক্ষক ওমর ফারুক, ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর একেএম শাহানুর আলম ও সাইকো সোস্যাল কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমান।
১৪ আগস্ট সন্ধ্যারাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত পারভেজ হাসান রাব্বির (১৮) বাবা খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা পশ্চিম সেনপাড়ার রোকা মিয়া। মামলায় শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করা হয়। মামলার পর পুলিশ হেফাজতে নেয়া ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।
এদিকে গতকাল সমাজসেবা অধিদপ্তরের করা তদন্ত কমিটির প্রধান অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) সৈয়দ মোহাম্মাদ নুরুল বসির ও উপপরিচালক (প্রতিষ্ঠান-২) এসএম মাহমুদুল্লাহ সরেজমিন পুলেরহাটে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে যান।