অস্কারজয়ী অভিনেতা ড্যানজেল ওয়াশিংটনের ক্রাইম থ্রিলার দ্য লিটল থিংস রাজত্ব করছে যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিসে। মুক্তির দ্বিতীয় সপ্তাহে ছবিটি আয় করেছে ২১ লাখ ডলার। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ২০টি দেশে টিকিট বিক্রি থেকে আয় করেছে আরো ১৪ লাখ ডলার।
গতকাল পর্যন্ত দ্য লিটল থিংস যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় মোট আয় করেছে প্রায় ৮০ লাখ ডলার এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ৫২ লাখ ডলার। ছবিটির পরিচালক জন লি হ্যানকক। ছবিটি হলে মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এইচবিও ম্যাক্স স্ট্রিমিং সাইটেও উন্মুক্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিস এখনো যেহেতু প্রায় বন্ধ তাই এ হাইব্রিড মডেল ২০২১ সালজুড়েই চালাবে ওয়ার্নার ব্রস।
যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ শতাংশ সিনেমা হল এখনো বন্ধ। যেগুলো খোলা সেগুলোও চলছে সীমিত আসন নিয়ে। দেশটিতে পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। এ বছরের বড় ছবি যেমন—এফ নাইন, ব্ল্যাক উইডো কিংবা নো টাইম টু ডাই গ্রীষ্মের আগে মুক্তি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। স্টুডিওগুলো ছবি মুক্তি দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকছে, আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি যতটা কমিয়ে আনা যায় তারা সেদিকেই মনোযোগ দিচ্ছে। ইউনিভার্সাল স্টুডিও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনো ছবি হলে মুক্তির ১৭ দিন পর তারা সেটা স্ট্রিমিং সাইটেও মুক্তি দেবে। অন্যদিকে ডিজনি তাদের মুলান ও সৌল সরাসরি ডিজনি প্লাসে মুক্তি দিয়েছে। ডিজনি মনোযোগ দিয়েছে তাদের স্ট্রিমিং সাইট ডিজনি প্লাসের সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর দিকে।
ইউনিভার্সাল ও ড্রিম ওয়ার্কসের অ্যানিমেশন দ্য ক্রুডস: আ নিউ এজ আছে যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিসের দ্বিতীয় স্থানে। তৃতীয় স্থানে আছে লায়াম নিসনের থ্রিলার দ্য মার্কসম্যান। ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের দুই হাজার স্ক্রিনে প্রদর্শিত হচ্ছে। চতুর্থ স্থানে আছে ওয়ান্ডার উইম্যান নাইন্টিন এইটিফোর। ছবিটি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ১ হাজার ৮০০ পর্দায় চলছে। এইচবিও ম্যাক্সেও দেখা যায় ছবিটি। এ সুপারহিরো ছবি এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আয় করেছে ৪ কোটি ডলার এবং বিশ্বব্যাপী সাড়ে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার।
সনির মনস্টার হান্টার আছে পঞ্চম স্থানে। ডিজনি ও পিকজারের সৌল এখন যুক্তরাষ্ট্রের হলগুলোতে দেখা যাচ্ছে না। তবে ডিজনি প্লাসে চলছে ছবিটি। যুক্তরাষ্ট্রে হল থেকে সরে গেলেও চীনের বাজারে এখনো বিক্রি হচ্ছে সৌলের টিকিট।