কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বিএডিসির আলু বীজে চারা গজানোর ৩০-৪০ দিনের মধ্যেই আলু গাছের ব্যাপক ভাবে মড়ক দেখা দেয়। এতে আলু গাছ মরে অনেক খেত ফাঁকা হয়ে গেছে। ফলে মোটা অংকের লোকসানের মুখে পড়েছেন কৃষকরা। বিএডিসি থেকে ঋণে আলু নিয়ে রোপণ করেন কৃষকরা। কিন্তু আলু চারা মরে যাওয়ায় ঋণ পরিশোধ নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা।
[৩] স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন পাকুন্দিয়া আলু বীজ থেকে আলু বীজ সংগ্রহ করেন। এবছর আলু চাষ করে তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। খাবার আলুকে বীজ হিসাবে দেওয়ায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এর দায়ভার নিচ্ছে না বিএডিসি কর্তৃপক্ষ।
[৪] সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামে কারেছ, এসটারিক্স, ডায়মন্ড , কাডিনাল জাতের আলুর চাষ করা হয়। কারেছ জাতের বীজ থেকে ভাল চারা গজালেও ডায়মন্ড , এসটারিক্স রোপন করা আলুর চারা গজানোর কিছু দিনের মধ্যেই গাছ মরে যাচ্ছে। তবে ভিত্তি বীজের চেয়ে প্রত্যায়িত আলুর চারার মড়কবেশি। ফলে কৃষকরা মোটা অংকের ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
[১] করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছ: রেজাউল করিম ≣ [১]ট্যানারি মালিকদের কাছে এখনও প্রায় ২০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে : দাবি কাঁচা চামড়া আড়তদারদের ≣ ঢাবি শিক্ষীকা জোবাইদা নাসরীনের ওপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় জড়িতদের বিচার প্রক্রিয়াধীন
[৫] এ সময় উপজেলার আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের চরজামাইল এলাকার কৃষক অহিদ আহমদ জানান, তিনি ১২০শতাংশ জমিতে আলু চাষ করেছেন। মড়কে তার ৩০% জমির আলুগাছ নষ্ট হয়েছে। একই গ্রামের মো. সজিব, মো. এমদাদুল মিয়াসহ অনেকেই জানান, আলু চারা গজানোর পর কিছুদিন পর থেকে আলুগাছ মরে যায়। কোনো ওষুধ ব্যবহার করে ও মড়ক ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বিএডিসির ঋণ পরিশোধ করা তাদের এখন দুষ্কর হবে।
[৬] খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একই অবস্থা সিদলাই উনিয়নের শহিদ মিয়া, আলম মিয়া, খাইরুল ইসলাম, আব্দুস সালাম জানায়, লাভের আশায় এত কষ্ট আলু চাষ করে আলু গাছের মড়কে লোকসানে পড়তে হলো তাদের।
[৭] উপজেলা কৃষি অফিসের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরুল কায়েস জানান, মাটিতে ছত্রাকের আক্রমনে কিছুটা এমন হতে পারে। তবে সঠিক সময়ে ওষুধ ব্যবহার করলে তা প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানান তিনি।
[৮] এ ব্যাপারে বিএডিসি পাকুন্দিয়া জোনের পরিচালক মো. হারুন অর রশীদ জানান, কুষ্টিয়া থেকে সরবরাহ করা আলুবীজের দু-একটি ব্লকের ক্ষেত্রে এরকম হয়েছে। দীর্ঘ সময় এক জমিতে একই ফসল চাষাবাদ করলে মাটির গুনাগুন হারিয়ে ফেলে। ফলে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া আক্রামণে মাটি দূষণে ফসলের এ রকম হতে পারে । তবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে তা প্রতিরোধ করা সম্ভব।