ভর্তি ফি, ক্রেডিট ফি কমানো, কেন্দ্র ফি বাতিলসহ আনুষঙ্গিক সকল ফি কমানোর দাবিতে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন করছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।
[৩] বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলন শুরু করেছেন তারা। এর আগে বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকেই আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। সেখানে আজ থেকে টানা আন্দোলনের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা।
[৪] আন্দোলনরত সিএসই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম আকাশ বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ফি কমানোর দাবি নিয়ে আসছি। সাবেক উপাচার্য খোন্দকার নাসিরুদ্দিন বিদায়ের পূর্বে শিক্ষার্থীদের ১৪ দফা দাবি মেনে নিয়েছিলো। সেগুলোর মধ্যে বর্ধিত ফি কমানোর কথা ছিলো কিন্তু তা কমেনি। করোনা পরবর্তী সময়ে বর্ধিত ফি কমানোর জন্যে আমরা প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। তারা সেটা সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে বর্ধিত ফি সহ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এজন্যে সকল শিক্ষার্থী অসন্তুষ্ট। এরই প্রেক্ষিতে আজকে আন্দোলন চলছে।”
[৫] তিনি আরও বলেন, প্রশাসন পূর্বের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি বাতিল করেছে এটা সম্পূর্ণ একটা নতুন নাটক। আর নাটকের নামে প্রহসন। আমাদের আন্দোলন ততক্ষণ পর্যন্ত চলবে যতক্ষণ না আমাদের সকল দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না করা হবে।”
[৬] এদিকে পূর্বে প্রকাশিত ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিদ্বয় পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
[১] প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন আর্মেনিয়ান হত্যাকে গণহত্যা আখ্যা দেওয়ার পরিকল্পনা বাইডেনের ≣ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিজিবি মোতায়েন ≣ আমানত ফেরত দিচ্ছে না অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান
[৭] বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড.একিউএম মাহবুব বলেন, “আগামী মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে ফি সংক্রান্ত বিষয়টি সমাধান করবো। ইতোমধ্যে আমরা করোনাকালের পরিবহন ফি এবং হল ফি সম্পূর্ণ মওকুফ করেছি। এছাড়া আরও কিছু ফি কমিয়েছি। এরপরও শিক্ষার্থীদের কোনো দাবি থাকলে আমি সেগুলোও শুনবো।”
[৮] তিনি আরও বলেন, ইউজিসি এবং মন্ত্রণালয়কে ইতোমধ্যে ফি কমানোর বিষয়টা জানানো হয়েছে এবং এর বেশি ফি না কমানোর জন্যে বলা হয়েছে।কাউন্সিলিং ফি শিক্ষার্থীদের কল্যাণেই করা হয়েছিলো। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আপত্তি থাকলে এটা বাদ দেয়া হবে। আমি চাই না তারা আন্দোলন করুক।তাদের কোনো দাবি থাকলে তারা আমাকে জানাবে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।”
[৯] প্রসঙ্গত, গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রোর মো. মোরাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নতুনভাবে নির্ধারিত ফি সমূহ প্রকাশ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।