৫ আসামিকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন হাইকোর্ট

বিদেশে অর্থ পাচার ও ডিজিটাল জালিয়াতির মামলায় বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ না করে ফের হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করায় পাঁচ আসামিকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই ৫ আসামিকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে আদালত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এরপর তাদের শাহ্‌বাগ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
যাদের পুলিশে দেয়া হয়েছে তারা হলো-ফরিদপুর জেলার মোফাজ্জেল হোসেন মোল্লা, মো. রাহাত হোসেন, আলাউদ্দিন মোল্লা ও রমজান আলী এবং পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মো. সুমন। এরা বর্তমানে চট্টগ্রাম বসবাস করেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট ফয়সল হাসান আরিফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। পরে আইনজীবী আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের জানান, এ মামলায় উল্লিখিত ৫ আসামি গতবছর হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন। হাইকোর্ট ওইবছরের ২৪শে সেপ্টেম্বর তাদের চার সপ্তাহের জামিন দেন। একই সঙ্গে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
কিন্তু হাইকোর্টের ওই আদেশ অনুযায়ী আসামিরা ঢাকার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ না করে আবার হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন। এ অবস্থায় হাইকোর্ট জামিন না দিয়ে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী প্রথমে তাদেরকে কোর্ট পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। এরপর শাহ্‌বাগ থানা পুলিশের কাছে তাদেরকে সোপর্দ করা হয়।
নথি থেকে জানা যায়, গতবছরের ৯ই সেপ্টেম্বর বিদেশে অর্থ পাচার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় এই পাঁচ জনসহ ৯ জনকে আসামি করে ঢাকার কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের দুই সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নিতাই চন্দ্র মণ্ডল ও মো. আজিবর রহমান পৃথক দু’টি মামলা করেন। রুটি মেকার ও ধূমপান সংক্রান্ত মেশিন আমদানির ঘোষণা দিয়ে ১ কোটি ৩২ লাখ পিস সিগারেট আমদানি এবং ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে কর ফাঁকি দিয়ে পণ্য খালাস করার অভিযোগ আনা হয় মামলায়।
মামলায় আরো বলা হয়, এর মাধ্যমে ২ কোটি ৪৭ লাখ ৫১ হাজার ২৪২ টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করা হয়েছে। কাস্টম বিভাগ থেকে ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে রাজস্ব পরিশোধ দেখিয়ে পণ্য খালাস করে নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ১৬ কোটি অভিযোগের মামলায় ৩৭ লাখ ৯৪ হাজার ২৮৩ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *