অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের শীর্ষ ভোক্তা দেশগুলোর একটি ভারত। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশটিতে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। জ্বালানি তেলের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সিংহভাগ আমদানির মাধ্যমে পূরণ করে দেশটি। অপরিশোধিত অবস্থায় আমদানি করে নিজস্ব কেন্দ্রগুলোয় পরিশোধনের পর সেই জ্বালানি তেল ভারতজুড়ে ব্যবহার করা হয়। আগামী দিনগুলোয় বাড়তি চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে ২০৩০ সালের মধ্যে জ্বালানি তেলের পরিশোধন সক্ষমতা বর্তমানের তুলনায় বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ভারত সরকার। খবর বিজনেস লাইন ও ইকোনমিক টাইমস।
ভারতের কেন্দ্রীয় তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ভারত বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিকারক দেশ। যত দিন যাচ্ছে দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়ছে। ফলে আগামী দিনগুলোয় আরো বেশি পরিমাণে জ্বালানি তেল পরিশোধন করতে হবে। এজন্য ২০৩০ সালের মধ্যে জ্বালানি তেলের পরিশোধন সক্ষমতা বর্তমানের তুলনায় বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হবে।
তিনি জানান, বর্তমানে ভারতের জ্বালানি তেল পরিশোধন কেন্দ্রগুলোর দৈনিক সক্ষমতা ৫০ লাখ ব্যারেল। ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটির পরিশোধন কেন্দ্রগুলো প্রতিদিন গড়ে ১ কোটি ব্যারেল জ্বালানি তেল পরিশোধন করতে পারবে। এর মধ্য দিয়ে ভারতের নিজস্ব কেন্দ্রগুলোয় প্রতি বছর ৪৫-৫০ কোটি টন জ্বালানি তেল পরিশোধন করা সম্ভব হবে।
এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভারত প্রধানত দুই ধরনের উদ্যোগ এগিয়ে নিচ্ছে। প্রথমত, বিদ্যমান পরিশোধন কেন্দ্রগুলো আধুনিকায়নের মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত নতুন নতুন পরিশোধন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে—এমনটাই জানালেন ভারতের তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
ভারতের পশ্চিম উপকূলে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের বেশি ব্যয়ে একটি সর্বাধুনিক পরিশোধন কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় জ্বালানি সংস্থা সৌদি আরামকো ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্বালানি প্রতিষ্ঠান আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (এডিএনওসি) এ পরিশোধন কেন্দ্র নির্মাণে ভারত সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে। এ পরিশোধন কেন্দ্রে জ্বালানি তেলবাহী বড় কার্গো জাহাজগুলো সহজেই ভিড়তে পারবে।