২০২৪ নাগাদ ২০ হাজার কোটি ডলার ছাড়াবে

চীন ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক অভূতপূর্বভাবে উন্নতি হয়েছে বলে মনে করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০২৪ সালের মধ্যে উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০ হাজার কোটি ডলার ছাড়াবে বলে আশাবাদ তার। খবর সিজিটিএন।

বর্তমানে রাশিয়া ও চীন অনেক ক্ষেত্রেই দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে একমত হয়ে চলছে, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে কাজ করছে। এ সম্পর্ক জোরদার করতে আরো অনেক ক্ষেত্রেই অংশীদারিত্বমূলক অংশগ্রহণ আশা করে রাশিয়া। শুক্রবার সেন্ট পিটার্সবার্গে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমনটা জানান পুতিন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সেন্ট পিটার্সবার্গ ইকোনমিক ফোরাম ২০২১-এর সম্মেলন চলাকালে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রাশিয়াভিত্তিক বার্তা সংস্থা তাস।

অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে পুতিন বলেন, রাশিয়া ও চীন দীর্ঘদিন ধরে সমানতালে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছে। বেশ কয়েক বছর ধরে দেশ দুটির মধ্যে ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি বাণিজ্য চলমান রয়েছে। বিশেষ করে ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯-এর সংক্রমণ সত্ত্বেও এ সম্পর্ক স্বাভাবিক ছিল।

পুতিন জানান, চীন ও রাশিয়া বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতামূলক কার্যক্রম চালু রেখেছে। বিশেষ করে উড়োজাহাজ নির্মাণ, চন্দ্রাভিযান, জ্বালানি খাত, পরিবেশ সংরক্ষণ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দুই দেশের সহযোগিতামূলক কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য। পুতিন আরো বলেন, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের মাধ্যমে ইউরেশিয়ান ইকোনমিক জোন তৈরিতেও চীনের সঙ্গে সম্পূর্ণ একাত্ম হয়ে কাজ করতে পুরোপুরি প্রস্তুত আছে রাশিয়া।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাশিয়া ও চীন তাদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে। নিজেদের সাধারণ স্বার্থ সংরক্ষেণের ব্যাপারেও তারা যথেষ্ট সচেতন। পুতিন জানান, রাশিয়া ও চীনের পারস্পরিক কৌশলগত সহযোগিতা আন্তর্জাতিক কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্যও সহায়ক হয়ে উঠছে। শুক্রবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর এক টেলিফোন সংলাপে উঠে এসেছে যে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে রাশিয়া ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ৪ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, কভিড-১৯ কোনোভাবেই রাজনীতির হাতিয়ার হওয়া উচিত নয়। এক্ষেত্রে সবার আগে মানবতাকে নিয়ে আসতে হবে। মহামারীর এ সময়ে সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত মানবতা। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই কেবল এ দুর্যোগ থেকে উদ্ধার করতে পারে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *