গণতন্ত্রের মানসপুত্রখ্যাত উপমহাদেশের বরেণ্য রাজনৈতিক নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতের একটি হোটেলকক্ষে নিঃসঙ্গ অবস্থায় তিনি মারা যান। ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি ছিলেন বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর কনিষ্ঠ সন্তান।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশেমের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলেও এর নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
এর পর ১৯৫৬ সালে চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর পদত্যাগের পর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। এর পর আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের উদ্দেশ্যে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) গঠন করেন তিনি।
তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার ফল ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট এবং অবিস্মরণীয় বিজয়। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় সুধীসমাজ তাকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত করে।
যথাযোগ্য মর্যাদায় অবিসংবাদিত এই নেতার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দিনটি উপলক্ষে শনিবার সকাল ৯টায় হাইকোর্ট সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দীর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতের কর্মসূচি নিয়েছে আওয়ামী লীগ।