হোসেনপুরে পান চাষে স্বাবলম্বী অনেকেই, বিদেশেও যাচ্ছে লাল ডিঙ্গি পান

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে আবাদি উঁচু জমি, বাড়ির পাশে, বিভিন্ন গাছে কিংবা বাড়ির উঠোনে পান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে । এতে একদিকে চাঙ্গা হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি, অন্যদিকে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এলাকার অনেক দরিদ্র পরিবার। তবে বাজারে পানের দাম বেশি ও ব্যাপক চাহিদা থাকায় অন্যান্য ফসলের তুলনায় পান চাষের প্রতি ঝুঁকছে স্থানীয় চাষীরা।

[৩] জানা যায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বিভিন্ন গ্রামে অসংখ্য পানের বরজ রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত পান উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে পার্শ্ববর্তী পাকুন্দিয়া, নান্দাইল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। বিশেষ করে এ এলাকার লাল ডিঙ্গি পান বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে । এরই মধ্যে উপজেলা পান পল্লী হিসেবে খ্যাত উপজেলার সুরাটি, সিদলা, জাহাঙ্গীরপু , পিতলগঞ্জ, ভরুয়া, হারেঞ্জাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ পান চাষ করে বদলে দিয়েছে গোটা উপজেলার অর্থনীতি। পাশাপাশি পান চাষিরাও তাদের শ্রম কাজে লাগিয়ে বদলে দিচ্ছে তাদের পরিবারের ভাগ্য।

[৪] উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রমতে, চলতি বছর উপজেলায় ১২ হেক্টর জমিতে পানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে অনেক বেশি।
[১] প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংইয়ের সমালোচনাকারী চীনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিখোঁজ ≣ [১] দিল্লিতে দাঙ্গা এবং সহিংস পরিস্থিতির জন্য বিরোধী দলগুলোকে দায়ী করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ≣ ‘ডিপফেকস’সহ সব ধরনের ভুয়া কন্টেন্ট সরিয়ে ফেলবে টুইটার

[৫] কৃষকরা জানায়, প্রতি একর জমিতে পানের উৎপাদন ব্যয় পাঁচ-ছয় লাখ টাকা, আর তা বিক্রি হয় ০৮- ১০ লাখ টাকায়। উপজেলায় সুরাটি, হারেঞ্জা ও বিভিন্ন এলাকায় ৩ শতাধিক পান চাষি রয়েছেন।

[৬] উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের পান চাষী বাবুল মিয়া, হারেঞ্জা গ্রামের হুমায়ুন , ভরুয়া গ্রামের পান চাষী নজরুল বলেন, পান চাষাবাদের এক-দেড় মাস যেতেই বরজের বিক্রির মত পান ফুটে উঠে। বর্ষা মৌসুমে পানের উৎপাদন একঠু বেশি হয়। এজন্য কোনো কাজের লোক রাখতে হয় না। অবসর সময়ে ব্যয় করেন এই বরজের পিছনে। এতে বরজ থেকে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে সক্ষম হন তারা।

[৭] উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের পিতলগঞ্জ গ্রামের বিল্লাল হোসেন জানান, পান লাভজনক ফসল। উৎপাদন খরচের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় বরজ পাল্টে দিয়েছে তার অভাবের সংসারের চিরচেনা স্মৃতি। পানের এই আয় থেকেই ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করানোর পাশাপাশি স্বাবলম্বী হচ্ছেন তারা। কিনেছেন ফসলি জমিও।

[৮] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইমরুল কায়েস জানান, পান চাষ লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলে পান চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এবার উৎপাদিত পান থেকে আরো বেশি আয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাছাড়া পান চাষ করতে গিয়ে কৃষক কোনো রকমের সমস্যার সম্মুখীন হলে খুব দ্রুক তাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে থাকেন বলেও জানান তিনি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *