ঢাকায় পৌঁছেই দুঃসংবাদ পায় নিউজিল্যান্ড। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন সফরকারী দলে ক্রিকেটার ফিন অ্যালেন। এই ওপেনার ব্যাটসম্যানের পরিবর্তে ব্ল্যাকক্যাপরা দলে ডেকেছে পেসার ম্যাট হেনরিকে।
‘দ্য হান্ড্রেড’ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলে ইংল্যান্ড থেকে সরাসরি বাংলাদেশে আসেন অ্যালেন। ঢাকায় পা রাখার ৪৮ ঘণ্টা পরেই কোভিড-১৯ পরীক্ষায় তার ফলাফল পজিটিভ আসে। অ্যালেনের সফরসঙ্গী হলেও সুস্থ আছেন গ্র্যান্ডহোম। অ্যালেন এখন আইসোলেশনে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সফরের শুরুতে না থাকলেও সর্বশেষ পাকিস্তান সিরিজে কিউই দলে ছিলেন ম্যাট হেনরি। আগামী ৩০শে আগস্ট বাংলাদেশে আসবেন তিনি। তবে টাইগারদের বিপক্ষে শুরুতেই হেনরিকে পাবে না নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশে এসে তিন দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে তাকে।
ওপেনিং ব্যাটসম্যানের পরিবর্তে পেসার দলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের চমক দেখানো সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান কোচ গ্যারি স্টিড। তিনি বলেন, ‘ম্যাট অবশ্যই ফিনের বদলি হতে পারে না। তবে তাকে পেয়ে আমাদের দল নির্বাচনের বিকল্প আরও বিস্তৃত হচ্ছে এবং এখনকার পরিস্থিতিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দলে যোগ দেয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সে।’
অ্যালেনকেও পর্যবেক্ষণে রাখা হবে এবং সম্ভব হলে একাদশেও নেয়া হবে। যদিও একজন ব্যাটসম্যানের পরিপূরক একজন পেসার হতে পারেন না, তবে দলের অভিজ্ঞতা ও গভীরতা বৃদ্ধির জন্যই হেনরিকে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্যারি স্টিড।
দলে সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ম্যাট হেনরি। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে কিউই পেসার বলেন, ‘বাংলাদেশে আগে কখনও যাইনি। তবে অনেক কথা হয়েছে ওখানে খেলা নিয়ে। ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলেছি। উপমহাদেশের কন্ডিশনের স্বাদটা তাই পেয়েছি। অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়েই যাবো। ওদের সবশেষ সিরিজও দেখেছি। এখন চ্যালেঞ্জটি নিতে অপেক্ষায় আছি।’
ম্যাট হেনরি বলেন, ‘কদিন আগে স্টিডির (গ্যারি স্টিড) ফোন আসে। তিনি আমাকে পরিস্থিতি জানান। ফিনের কথা জেনে অবশ্যই খারাপ লেগেছে। তবে মনে হচ্ছে, সে বেশ ভালো আছে। আমার জন্য এটি রোমাঞ্চকর একটি সুযোগ।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে মোট ১০টি ম্যাচ খেলেছেন হেনরি। তবে সবই ঘরের মাঠে।
হেনরি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের বিপক্ষে অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছি। তবে সবই আমাদের হোমগ্রাউন্ডে। এবারের অভিজ্ঞতা অবশ্যই অনেক ভিন্ন হবে। সাম্প্রতিক সিরিজগুলোয় বাংলাদেশ খুব শক্তিশালী দল ছিল। দেশের মাঠে অবশ্য সবসময়ই তারা কঠিন প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচিত হয়।’
আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। সিরিজের বাকি চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ৩, ৫, ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর। সবগুলো ম্যাচই আয়োজিত হবে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।