শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্কুল-কলেজ খুলতে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা জানান।
তবে ৩০ মার্চ শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হলেও আপাতত সব শ্রেণিকে একদিনে ক্লাসে আনা হবে না, আর গতবছর শিক্ষার যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে এবছর রমজান মাসেও ক্লাস চালু রাখা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জননিরাপত্তা সচিব এবং পুলিশের আইজিপি বৈঠকে অংশ নেন।
[১] সুদানকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র তালিকা থেকে বাদ দিলো যুক্তরাষ্ট্র ≣ রাজশাহীতে ভিক্ষুকের যৌন হয়রানীর পর এবার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ≣ [১] স্থগিত হওয়া পাকিস্তান সুপার লিগ ১৪ নভেম্বর শুরু
প্রায় দুই ঘণ্টার সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমরা ইনশাআল্লাহ আগামী মার্চ মাসের ৩০ তারিখে খুলে দেবো।
সব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা যে ক্লাসে আসছে না তা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রথমে প্রাথমিক পর্যায়ে হয়তো পঞ্চম শ্রেণিকে প্রতিদিন ক্লাসে আনবো। আমরা দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিকে প্রতিদিন আনবো। বাকি ক্লাসগুলো হয়তো প্রথমে সপ্তাহে একদিন আসবে, কয়েকদিন পর থেকে তারা সপ্তাহে দু’দিন আসবে। পর্যায়ক্রমে আমরা স্বাভাবিকের দিকে নিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘সিক্স, সেভেন ও এইট গোড়ার দিকে সপ্তাহে একদিন করে আসবে। তারপর অবস্থা বিবেচনায় আমরা সেটাকে বাড়াবো। যদি দেখা যায় টিকার কারণে দেশে একেবারেই সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে না, তাহলে আমরা ২/৩ সপ্তাহ পর থেকেই একেবারে স্বাভাবিক ক্লাসে চলে যেতে পারি। আর যদি দেখা যায় সংক্রমণের ঝুঁকি রয়ে গেছে, তাহলে তখন যতদিন প্রয়োজন মনে করবো আমরা করে যাবো। ’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা প্রাক-প্রাথমিককে এখন আনবো না। সেটি আমরা অবস্থা বিবেচনা করে পরে কখন আনবো, সেটি পরে সিদ্ধান্ত নেব। ’
সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ২৪ মে থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৭ মে থেকে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।হলগুলো খুলে দেওয়ার আগেই সংস্কার, মেরামতের কাজ করবো। আর প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর, পিডব্লিউডি মেরামতের কাজগুলো সম্পন্ন করবো।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে স্বাস্থ্য বিধি যথাযথ মানা হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং আরও জোরদারের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা তা দেখবেন। আর আমাদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যারা মাঠ পর্যায়ে আছেন তারাও এই বিষয়গুলো মনিটর করবেন।
এই সময়ের মধ্যে শিক্ষকদের সবাইকে টিকার আওতায় আনা যাবে কিনা- এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি। ইতোমধ্যে প্রাথমিকের দেড় লাখ শিক্ষক টিকা নিয়ে নিয়েছেন। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সঙ্গে শিক্ষা বিভাগ যৌথভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষকদের দ্রুত রেজিস্ট্রেশন ও টিকা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো।‘আবাসিক শিক্ষার্থীরা দেশের যেখানেই থাকবেন। সেখান থেকেই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এবং নিকটস্থ টিকাদান কেন্দ্র থেকে তারা টিকা নিতে পারবেন। আমরা আশা করছি ১৭ মের আগেই আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে পারবো।’