সুস্থ অবস্থায় ফাইজারের টিকা নেয়ার ১৬ দিন পর ডাক্তারের মৃত্যু

যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে ধাত্রীবিশারদ বা ডাক্তার গ্রেগরি মাইকেল (৫৬) সুস্থদেহে ফাইজার আবিষ্কৃত করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছিলেন। এর ১৬ দিন পরে ৩রা জানুয়ারি তিনি ব্রেনে রক্তক্ষরণে মারা যান। তার স্ত্রী হিদি নেকলম্যান বলেছেন, টিকা নেয়ার সময় তার স্বামী একেবারে সুস্থ মানুষ ছিলেন। টিকা নেয়ার পর তিনি ইডিওপ্যাথিক থ্রোমবোসাইটোপেনিক পারপুরা (আইটিপি) জনিত স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। রক্তে প্লেটলেটসের ঘাটতির কারণে বিশৃংখলা দেখা দেয়। এ অবস্থাকে আইটিপি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এ ঘটনার পর ফাইজার বলেছে, তারা এ বিষয়টিতে সক্রিয়ভাবে তদন্ত করছে। তবে তারা বিশ্বাস করে না যে, টিকা নেয়ার সঙ্গে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কোনো সরাসরি সম্পর্ক আছে।
ওদিকে গ্রেগরি মাইকেলের মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করছে ফ্লোরিডা ডিপাার্টমেন্ট অব হেলথ এবং ফেডারেল সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। মাইকেলের স্ত্রী হিদি বলেছেন, তার স্বামীর কোনো রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক বিশৃংখলা ছিল না শরীরে। এ ছাড়া এমন কোনো লক্ষণ বা অবস্থা তার শরীরে ছিল না, যার কারণে তিনি আইটিপিতে আক্রান্ত হতে পারেন। হিদি এক সন্তানের মা। তিনি দাবি করেছেন, মন বলছে, আমার স্বামীর মৃত্যুর সঙ্গে শতভাগ সম্পর্ক আছে এই টিকার। এর অন্য কোনো ব্যাখ্যা হতে পারে না। গ্রেগরি মাইকেলের মৃত্যুর কথা ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী হিদি নেকেলম্যান। তিনি বলেছেন, করোনা ভাইরাসের টিকার শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার কারণে তার স্বামীর ব্রেনে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ বিষয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে একটি বিবৃতি দিয়েছে ফাইজার। তাতে তারা বলেছে, আমরা ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার সময় বা এই টিকা বাজারজাত করার পর এমন নিরাপত্তাজনিত কোনো সঙ্কেত পাইনি। তবে মাইকেলের পরিবারের শোকাহত সদস্যদের জন্য আমরা সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।
ফাইজার বলেছে, এমন ঘটনা খুবই অস্বাভাবিক। এখন পর্যন্ত কয়েক লাখ মানুষকে এই টিকা দেয়া হয়েছে। টিকা নেয়ার পর আমরা ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় কিনা তা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ওদিকে মাইকেলের দেহ থেকে ময়না তদন্তের সময় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে গত বুধবার। তা এদিইন পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে সিডিসিতে। মিয়ামি-ড্যাডি কাউন্টি মেডিকেল এক্সামিনার ডিপার্টমেন্টের পরিচালক অপারেশন্স ড্যারেন কাপ্রারা এ কথা নিয়েছেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *