সুন্দরগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যা করে হাত-পা বেধে পাট ক্ষেতে লাশ ফেলে পালালেন স্বামী

ক্বারী মোঃ আবু জায়েদ খাঁন, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ

সংন্দরগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যা করে হাত-পা বেধে পাট ক্ষেতে লাশ ফেলে পালালেন স্বামী
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের চরাঞ্চলে স্ত্রীকে হত্যা করে হাত-পা বেধে বন্যায় নিমজ্জিত পাট ক্ষেতে লাশ ফেলে দিয়ে স্বামী পলায়নের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
মামলা ও ঘটনাস্থল স‚ত্রে জানা যায়, উপজেলার চরাঞ্চল পাড়াসাদুয়া গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে নাসিমা আক্তার ছবিরনের (৩০) প্রথম স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হলে তার দুই কন্যাকে বাবার বাড়িতে রেখে ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টসে চাকুরি করতে থাকে। সেখানে চাকুরি করাকালিন সময়ে মধু মিয়া (৩৮) নামে এক প্রবাসির সাথে নাসিমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই প্রেমের টানে মধু মিয়া দেশে ফিরে এলে গত ২০ ডিসেম্বর/২০১৮ ইং তাদের বিয়ে হয়। মধু মিয়া গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার হরিপুর গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে। বিয়ের পর থেকেই তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ঢাকাতেই বসবাস করতে থাকে। করোনা ভাইরাসের কারণে তারা দুজনেই মাস খানিক আগে নাসিমার বাবার বাড়িতে গিয়ে সেখানেই বসবাস করতে থাকে। এরই মধ্যে বন্যার আগমন ঘটলে নাসিমার বাবার বাড়ি কোমর পানিতে নিমজ্জিত হয়। এ অবস্থায় ওই বাড়ির লোকজন পার্শ্ববর্তী উচু বাড়িতে অবস্থান নিলেও নাসিমা ও তার স্বামী মধু মিয়া সেখানেই উচু বিছানা বানিয়ে রাত যাপন করতে থাকে। গত মঙ্গলবার সকাল ৮ টার মধ্যে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে নাসিমার ভাই জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন বন্যার পানি ভেঙ্গে ওই বাড়িতে ঢুকে তাদের দেখা না পেয়ে খোঁজা-খুঁজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার বিকাল ৪ টার দিকে ওই বাড়ির ৫০ গজ দুরে পাট ক্ষেতে নাসিমার হাত-পা বাধা লাশ ভেসে উঠে। এরপর খবর পেয়ে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নাসিমার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নাসিমার ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে বুধবার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১/২০। তাং-০১/০৭/২০২০ ইং, ধারা- ৩০২,২০১/৩৪ দ:বি। পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করেছেন। থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,আসামী গ্রেফতারে জোর তৎপরতা চলছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *