মোঃ নূরন নবী সরকার, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ- গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বিক্রিত বসত:ভিটার দখলভোগ ছেড়ে না দেয়ার জন্য বিভিন্ন টাল বাহানা সহ জমি গ্রহীতাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা দিয়ে ফাসিয়ে দেয়ার পায়তারা চলছে।
সরেজমিনে জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উজান বোচাগাড়ী গ্রামে গত ০৮ ই জুলাই ২০২০ ইং সালে আব্দুর রশিদ এর পুত্র মমিনুল ইসলাম তার নিজ নামীয় ক্রয়কৃত বসত:ভিটা সাড়ে ৭ শতাংশ জমি প্রতিবেশী আব্বাস আলীর পুত্র আনোয়ারুল ইসলামের নিকট উজান বোচাগাড়ী মৌজার জে এল নং-৭৩, আর এস খতিয়ান নং-৮৮৯, ডিপি খতিয়ান নং-২২৫০, খারিজ খতিয়ান নং-২১১৮/১, হল্ডিং নং -২৭৫৮, সাবেক দাগ নং-১৩৩৮, ১৩৩৯ ও ১৩৩৪, নতুন দাগ নং-৩৯৯ এর মধ্যে সাড়ে ৭ শতাংশ জমি সাব কবলা দলিল করে দেয়। যাহার দলিল নং-৫৬৩০/২০। জমি বিক্রির পর মমিনুল ইসলাম ঘর সরানোর জন্য এ সময় আনোয়ারুল ইসলামের নিকট ৫/৬ মাসের সময় চেয়ে নেয়। ইতোমধ্যেই ঐ এলাকায় তিস্তা নদীর ওপর ব্রীজ নির্মানের কাজ শুরু হওয়ায় বিক্রিত বসত:ভিটার বাজার মূল্য কয়েকগুন বৃদ্ধি পায়। তার পরেও বসত:ভিটার ভোগদখল ছেড়ে দেয়ার জন্য প্রতিবেশী লোকজনদের সহযোগীতায় আনোয়ারুল ইসলাম বিক্রেতা মমিনুল ইসলামকে দফায় দফায় চাপ সৃষ্টি করলে মমিনুল ইসলাম তার বসত:ভিটার ৩ টি ঘরের মধ্যে ২ টি ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। এসময় আনোয়ারুল ইসলাম তার ক্রয়কৃত সম্পত্তির মধ্যে বাড়ি নির্মানের জন্য ৭ হাজার ইট নিয়ে আসে ও ঘর নির্মানের প্রস্তুতি নেয়। এহেন পরিস্থিতিতে স্থানীয় জাতীয় পার্টির কতিপয় স্বার্থান্বেশী ব্যক্তির মদদে মমিনুল ইসলাম অবশিষ্ট ঘরটি অন্যত্র সরানোর বিষয়ে টাল বাহানা করতে থাকে। এমনকি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন আনোয়ারুলের ক্রয়কৃত বসত:ভিটায় তার রক্ষিত ৭ হাজার ইটের মধ্যে ২ ট্রাক্টর (কাকড়া) ইট গত ১৯ শে ফেব্রæয়ারী কঞ্চিবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিস্তা ব্রীজ এর কাজ শুরু হওয়ায় জমির বাজার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় জাতীয় পার্টির কিছু স্বার্থান্বেশী ব্যক্তির উষ্কানিতে মমিনুল ইসলাম তার বিক্রিত বসত:ভিটার দখলভোগ ছেড়ে না দেয়ার জন্য বিভিন্ন টালবাহানা সহ নারীঘটিত মামলায় উক্ত বসত:ভিটার ক্রেতা আনোয়ারুল ইসলামকে ফাসানোর জোড় তৎপরতা চালাচ্ছে।