সুন্দরগঞ্জে কাজের মেয়ে সুমনা ধর্ষনে ৬ মাসের অন্তঃসত্তা অতঃপর ধর্ষক আটক।

ক্বারী মোঃ আবু জায়েদ খাঁন, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৯ নং ছাপড় হাটী ইউনিয়নের প‚র্ব ছাপড় হাটী গ্রামের সোনা মিয়ার মেয়ে সুমনা(১৫) গত ৬ জানুয়ারী বাংলা ২২ শে পৌষ স্থানীয় ওরশ মাহফিলে মেয়ের দুলাভাই সাইদুরে সাথে আসা ১ সন্তানের জনক রোকনের সাথে সুমনার দুলাভাই পরিচয় করে দিলে তাদের দু জনের কথা হয়। সন্ধায় মাহফিল শুরু হলে সুযোগ বুঝে রোকন সুমনাকে জোড় প‚র্বক ধর্ষন করে। ঘটনার পর থেকে সে সুমনাকে ধর্ষন করে আসায় বর্তমানে সুমনা ৬ মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পরে। সুমনার বাড়ির মালিক ছায়দার ব্যাপারী তার কাজের মেয়ে সুমনার শাররীক গঠনের পরিবর্তন দেখে গত ১০ আগষ্ট সোমবার কাজের মেয়েকে চাঁপ দিলে অন্তঃসত্তার কথা স্বীকার করে এবং ধর্ষন কারীকে ফোন করে দেখা করতে বললেন। রোকন সন্ধায় ছাইদার ব্যাপারীর বাসার কাছে আসলে তাকে আটক করে ছাইদার ব্যাপারীর বাসায় এরির্পোট লেখা পর্যন্ত রুমে তালা বদ্ধ রাখেন। সুমনার সাথে কথা বলে জানা যায়,তার দুলা ভাই সাইদুর রোকনের সাথে বিয়ের প্রলোভন দেয়ায়, সে ঘটনার পর থেকে নিয়মিত মেলা মেশা করা কালিন সময় অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে বলে জানায় সুমনা। রোকনের বাড়ি সুমনার বাড়ির পাশাপাশি হওয়ায় নিয়মিত যোগাযোগ হরতেন। বিষয়টি আরো পরিস্কার করার স্বার্থে লিচু নামে আর এক ইউপি সদস্যের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদেরসহ ফারুক ও তার বন্ধু চার জন কে সাথে নিয়ে রোকনের বাড়ির রাস্তায় এক ছেলের সাথে দেখা হয়। সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বলে রোকন তার বন্ধু হয় রোকনকে অন্যায় ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তার কথায় নিঃসন্দে বলা যায় ঐ সাংবাদিকের ছত্র ছায়ায় রোকন একজন নিরীহ কাজের মেয়েকে বিয়ে করার মিথ্যা আশ্বাসে ধর্ষন করে আসায় সুমনা ৬ মাসের অন্তঃসত্তা হয়। ছায়দার ব্যাপারী ও তার স্ত্রীকে সুমনার অন্তঃসত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য গাইবান্ধা ক্লিনিকে পাঠিয়ে টেস্ট করে ৬ মাসের অন্তঃসত্তা নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যান কনক কুমার গোস্বামী বিষয়টি নিরশনে দায়িত্ব দিয়েছেন বলে এ প্রতিনিধিকে জানান।
ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে দেখা গিছে, এলাকার কিছু সংখ্যাক কুচক্রী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *